সিনহা হত্যা : এপিবিএন তিন সদস্য ৭ দিনের রিমান্ডে

302

কক্সবাজার, ২২ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য শনিবার র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সিনহার বোনের দায়ের করা মামলায় এ নিয়ে মোট ১৩ জনকে রিমান্ডে নেয়া হল। ইতিপূর্বে পুলিশের ৪ সদস্য সহ ৭ জনকে রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হলেও ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও উপ পরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত এর রিমান্ডের আজ শনিবার ছিল পঞ্চম দিন।
আজ শনিবার বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটের দিকে এপিবিএন এর ৩ সদস্যকে কারাগার থেকে র‌্যাব এর একটি দল হেফাজতে নেন। এরপর এদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে নেয়া হয় র‌্যাব ১৫ এর কক্সবাজার সদর দফতরে। রিমান্ডে নেয়া তিন জন হলেন এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ। মেজর সিনহা হত্যা ঘটনার দিন ৩১ জুলাই রাতে এ তিন জন এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেন।
গত ১৭ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাবের একটি দল এ ৩ জনকে হেফাজতে নেন। এরপর ১৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় এদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি মো: খায়রুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে কক্সবাজারে জৈষ্ঠ্য বিচারকি হাকিম (টেকনাফ-৩) তামান্না ফারাহ’র আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খায়রুল ইসলাম জানান, আদালতের নিদের্শনা মতে রিমান্ডে নেয়ার সময় এবং রিমান্ড শেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম রয়েছে। নিয়ম মতে রিমান্ডে যাদের নেয়া হয়েছে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি বলেন- ইতিমধ্যে যাদেরকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। ঘটনার দিন যে অস্ত্রটি ব্যবহার করে সিনহাকে গুলি করা হয়েছে সেটি তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রদান করতে আদালত আদেশ দিয়েছেন। আজ শনিবারের মধ্যে অস্ত্রটি তার হেফাজতে যাবে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ঘটনার সময় চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করা এপিবিএন এর তিন সদস্যকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনে হয়েছে হত্যাকান্ডে তারা সম্পৃক্ত। সব বিষয় পর্যালোচনা করে সন্দেহভাজন হিসাবে তাদের গ্রেফতারের পর রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো তথ্য বের হবে বলে র‌্যাবের প্রত্যাশা।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে তাদের অপর সঙ্গী শিপ্রাকে দেবনাথকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।