নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলাকারী টারান্টের সাজার শুনানি আগামী সপ্তাহে শুরু

436

ওয়েলিংটন, ২১ আগস্ট, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : গত বছর নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চেও একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ মুসলিমকে হত্যাকারী অস্ট্রেলিয়ান শ্বেত আধিপত্যবাদী ব্রেন্টন টারান্টের সাজা নির্ধারণী শুনানি আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। এ সময় তাকে হামলায় বেঁচে যাওয়া মানুষের মুখোমুখি করা হবে। তার যাবজ্জীবন কারাদ-ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
এর আগে তার নির্দোষ সাব্যস্তের আবেদন নাকোচের পর দক্ষিণ-ডান উগ্রপন্থী টারান্টকে মার্চ মাসে ৫১টি হত্যা, ৪০টি হত্যা প্রচেষ্টা ও একটি সন্ত্রাসবাদী হামলার কারণে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
কঠোর নিরাপত্তা ও মিডিয়ার প্রতিবেদন নিষেধাজ্ঞার ভেতর দিয়ে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া চার দিনের শুনানির জন্য টারান্টকে ক্রাইস্টচর্চ আদালতে হাজির করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ গুলি হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন ও নিহতদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আদালত কক্ষে প্রথম তার মুখোমুখি হকে যাচ্ছেন।
গুলি চালানোর পরের দিন একটি বদ্ধ আদালত কক্ষের কাঠগড়ায় সংক্ষিপ্ত উপস্থিতি ছাড়াও ইতোপূর্বে তাকে অকল্যান্ডের সর্বাধিক সুরক্ষিত কারাগার থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আদালতে দেখানো হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি ক্যামেরন মান্ডার বলেন অত্যাচারের ক্ষতটি এখনও কাঁচা যা নিউজিল্যান্ডকে হতবাক করেছে। এই সাজা প্রদান ভুক্তভোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
ক্যামেরন মান্ডার জানান, ৬০ জনের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা নিয়ে বক্তব্য দেবেন।
তাদের অনেকেই বিদেশ থেকে এসেছেন, দুই সপ্তাহ কোরেন্টাইনে থেকেছেন যাতে তারা অংশ নিতে পারেন।
করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে ক্রাইস্টচার্চের সাতটি কোটরুমের লাইভ ফিডের মাধ্যমে তারা দেখার ও অন্যরা অনলাইনে এটি পর্যবেক্ষণের অনুমতি পেয়েছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন আগামী সপ্তাহ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি অনেকের জন্যে একটি কঠিন সপ্তাহ হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার গ্রাফটন শহরের প্রাক্তন জিম প্রশিক্ষক টারান্ট ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডে আসে।
একাকী ও ইন্টারনেট নিমগ্ন থেকে অভ্যস্ত টারান্ট চরমপন্থীদের অনলাইন চ্যাটরুমগুলোতে প্রায়ই ডুবে থাকতো। অস্ত্রের ক্যাশ সংগ্রহ ও হত্যা পরিকল্পনার সময় সে ডুনেডিনে থাকতো। দক্ষিণ দ্বীপ শহর ক্রাইস্টচার্চকে সে তার লক্ষ্যস্থল হিসেবে বেছে নেয়।
তার শিকাররা সবাই ছিল মুসলিম নারী শিশু ও প্রবীণ।
নিউজিল্যান্ডের বিচারে মৃত্যুদন্ড নাই। তবে, টারান্টের বাকি জীবন কারা-অন্তরালে কাটানোর সম্ভাবনার মুখোমুখি।