বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি) : বিএনপি দেশে হত্যার রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি ‘দুর্নীতির বিষবৃক্ষ রোপণ’ করেছে : প্রধানমন্ত্রী

218

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি)
প্রধানমন্ত্রী-২১ আগস্ট-আলোচনা
বিএনপি দেশে হত্যার রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি ‘দুর্নীতির বিষবৃক্ষ রোপণ’ করেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিন হামলার পরে পুলিশ হতাহতদের উদ্ধারের পরিবর্তে হামলাকারীদের নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য টিয়ার গ্যাসর নিক্ষেপ করে এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে।
‘তৎকালীন বিএনপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই ধরনের বর্বরোচিত হামলা সম্ভব হতো না। বিএনপি সরকার সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্তা এবং বিদেশে পালানোর সুযোগ সৃষ্টি করেছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি সরকার ভেবেছিল এই হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, কিন্তু আমি এই হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছি এবং যখন বিএনপি সরকার শুনল যে তিনি মারা যাননি, তখন তারা চারজন খুনীকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল।
এই হামলায় তৎকালীন অনেক বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য আহত হয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সংসদে তাদের একটি শব্দও উচ্চারণ বা আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি।
এমনকি আমাদের এই হামলার নিন্দা জানাতে জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব আনতে বাধা দেয় হয়েছিল। বরং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী খালেদা জিয়া বিষয়টি নিয়ে ঠাট্টা করে বলেছিলেন যে, তাকে (শেখ হাসিনা) কে হত্যা করবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দলের অসংখ্য নেতা এবং সংসদ সদস্য সে সময় হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, কিন্তু সংসদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার কোন অধিকার আমাদের ছিল না এবং এই বিষয়ে কথা বলার জন্য সংসদে আমাদের কাউকে মাইক দেওয়া হয়নি… যদি তারা এই হামলায় জড়িত না থাকত, তাহলে তারা এভাবে বাধা দিতে পারত না।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণের পর হত্যার পরিকল্পনা করেছিল এবং এফবিআই তদন্ত থেকে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, তদন্তে বিএনপির এক নেতাকে দোষী সাব্যস্ত ও সাজা প্রদান করা হয় এবং আদালতের রায়ে বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান ও শফিক রহমানের নাম প্রকাশ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অপরাধের জন্য যে ব্যক্তি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তিনি তারেক জিয়ার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়টি জানতে পারতাম না যদি এফবিআই এর তদন্ত না করতো এবং এ ব্যাপারে রায় প্রদান না করা হতো।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জন্য এবং বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সাহায্য করার জন্য দলের সকল নেতা ও কর্মী এবং সহযোগী সংগঠনগুলোকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, দেশের কোন রাজনৈতিক দল এভাবে জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, দলের অনেক নেতা ও কর্মী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন। তিনি নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী এই মারাত্মক রোগের সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করেছেন এবং তাঁর স্বপ্ন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য অর্জনে অনেক অগ্রগতি লাভ করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, করোনাভাইরাস সবকিছু আটকে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা অর্থনৈতিক কাজের চাকা সচল রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
তার জীবননাশের অপচেষ্টা বেশ কয়েকবার করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ অবশ্যই ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা থেকে তাকে রক্ষা করে কিছু কাজ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি যেনো চালিয়ে যেতে পারি এবং সর্বশক্তিমান আমাকে সেই সুযোগ দেবেন এবং আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
বাংলাদেশের জনগণ করোনাভাইরাস থেকে যেনো রক্ষা পায় এবং দেশের উন্নয়নের গতি যাতে অব্যাহত থাকে এজন্য শেখ হাসিনা সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাসস/এসএইচ/এসই/১৯০০/-শআ