বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় কিস্তি) : বিএনপি দেশে হত্যার রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি ‘দুর্নীতির বিষবৃক্ষ রোপণ’ করেছে : প্রধানমন্ত্রী

153

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় কিস্তি)
প্রধানমন্ত্রী-২১ আগস্ট-আলোচনা
বিএনপি দেশে হত্যার রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি ‘দুর্নীতির বিষবৃক্ষ রোপণ’ করেছে : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি-জামায়াত জোটের বল্গাহীন দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, তারা এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লম্বা লম্বা কথাবার্তা বলছে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছে যে, তাদের আমলে বাংলাদেশ পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল… সবাই তা ভাল করেই জানে।’
বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এত বিপুল পরিমাণ অর্থোপার্জন করেছিল যে, ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের একজন বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ রকম জীবনযাপন করতে পারি না, তবে তারা পারে। কোথা থেকে তারা এ অর্থ পাচ্ছে? (শুনেছি) তারা ‘জুয়ার আড্ডা’ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া দায়িত্ব গ্রহণের পর তার স্বামী সামরিক একনায়ক জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশজুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে পোস্টিং দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন।
‘তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান হত্যাকারী ফারুক-রশিদের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং বিবিসিসহ বিভিন্ন মিডিয়াকে দেয়া তাদের সাক্ষাৎকার থেকে তা প্রকাশিত হয়েছিল এবং এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, পরবর্তীতেও খুনিদের সাথে জিয়ার সম্পর্ক ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা করিয়েছিলেন এবং তার ছেলে তারেক রহমান এতে জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, যারা হামলা চালিয়েছিল তাদের স্বীকারোক্তি থেকে হামলার পরিকল্পনা এবং কোথায় ও কীভাবে তারা হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিল তা বের হয়ে এসেছে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ওই জনসভার কিছুদিন আগে, খালেদা জিয়া ভবিষ্যৎবাণী করেন যে, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না এবং আমি কখনো প্রধানমন্ত্রী বা এমনকি বিরোধী দলের নেতাও হতে পারব না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কীভাবে এমন পূর্বাভাস দিয়েছিলেন? কারণ তারা আমাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল। নাহলে তারা কিছুই করতে পারত না। আমরা যদি তাদের মন্তব্যগুলো দেখি, তাহলে এই ষড়যন্ত্র বেরিয়ে আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেটে হজরত শাহজালাল (রা:) এর মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর জঙ্গিদের হামলাসহ সারা দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতার প্রতিবাদে শান্তির পক্ষে আওয়ামী লীগ ২০০১ সালের ২১ আগস্ট দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করেছিল।
গ্রেনেড হামলার ভয়াবহ দৃশ্য স্মরণ করে সংসদে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা বলেন, মোহাম্মদ হানিফসহ দলের নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে তাকে রক্ষা করেছিলেন।
তিনি কলেন, ‘একটি ট্রাকে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চ লক্ষ্য করে ১৩টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং আরো দু’-তিনটি গ্রেনেড অবিস্ফোরিত অবস্থায় থেকে গেয়েছিল।
গ্রেনেড হামলার প্রমাণ নষ্ট করার জন্য বিএনপি সরকারকে দায়ী করে শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেন যে, বিএনপি যদি জড়িত না হয়, তাহলে কেন তারা প্রমাণ নষ্ট করেছিল?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রেনেড হামলার পরে সিটি কর্পোরেশন (যার মেয়র ছিলেন সাদেক হোসেন খোকা) সমস্ত প্রমাণ মুছে ফেলতে পানি দিয়ে পুরো এলাকা ধুয়ে ফেলেছিল।
তিনি বলেন, প্রমাণ হিসাবে একটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড রাখতে চেয়েছিলেন বলে খালেদা জিয়া একজন সেনা অফিসারকে বরখাস্ত করেছিলেন। এর অর্থ এই যে তারা হামলার একটি প্রমাণও রাখতে চাননি।
চলবে-/বাসস/এসএইচ/-অনু-এইচএন/১৭৪৫/-শআ