ভারতের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন : বাণিজ্যমন্ত্রী

378

ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাংলাদেশের সাথে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে দু’দেশের মধ্যে সড়ক,নৌ ও রেল তিন পথেই যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ‘প্রবৃদ্ধি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য কানেকেটিভিটি’ বিষয়ক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন ও ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই) যৌথভাবে ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
আইবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)’র সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, চট্টগ্রাম চেস্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি(সিসিসিআই)’র সভাপতি মাহবুবুল আলম ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সদস্য নুরুল আলম বক্তব্য দেন।
টিপু মুনশি বলেন,ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার যোগাযোগ অবকাঠামোর অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। কারণ উন্নত যোগাযোগ কানেকটিভিটি ছাড়া সমৃদ্ধি আসে না। তাই দু’দেশের সড়ক,নৌ ও রেল তিন পথেই কানেকটিভিটি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
কোভিড-১৯ অতিমারির মধ্যে দু’দেশের মধ্যে পণ্য চলাচল নির্বিঘœ করতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করায় তিনি ধন্যবাদ জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,‘আমরা যখন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সাথে কথা বলি,তখন তারা নৌপথে পণ্য চলাচলের সুবিধা প্রদানের বিষয়টি উত্থাপন করেন। এসব জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি নৌ যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আঞ্চলিক যোগযোগ সম্প্রসারণে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ভারত হয়ে নেপাল পর্যন্ত রেলপথ করার আইন পাস করা হয়েছে। বাংলাদেশের রামগড় হয়ে ত্রিপুরার সাথে সড়ক যোগাযোগের জন্য নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে তিনি।
ভারত বাংলাদেশের বিশ^স্ত বন্ধু উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ভারতের নেতৃবন্দের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সবার আগে বাংলাদেশ। বাংলাদেশও এই সম্পর্ককে সেভাবে গুরুত্ব দেয়।
অনুষ্ঠানে রিভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেখা গেছে পণ্য চলাচলের ক্ষেত্রে রেল ও নৌপথ তুলনামূলক ব্যয় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। স্থলবন্দর বন্ধের সময় চারটি রেলপথ দিয়ে বড় কার্গোগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেটা করোনাকালীন সময়ে বাণিজ্য সচল রাখতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
তিনি জানান, দু’দেশের মধ্যে পণ্য চলাচল চুক্তির আওতায় গত জুলাই মাসে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে অত্যন্ত সফলভাবে পণ্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যে পৌঁছাছে। তিনি বলেন, ভারতের নেতৃবৃন্দ মনে করে কোভিড অতিমারি মোকাবেলা ও টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য বন্ধুত্বপূর্ন এবং কার্যকর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত প্রয়োজন।
এফবিসিসিআইস সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে রেল, নৌ, বিমান ও সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর সমন্বয়ে সমন্বিত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। কোভিডের কারণে দু’দেশের মধ্যে বন্ধ থাকা বিমান চালু করার প্রস্তাব করেন তিনি।