১০ দিনে ৬৯১টি স্থাপনায় লার্ভা, ১০ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা ডিএনসিসি’র

244

ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২০ (বাসস): ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) গত ১০ দিনে নগরীর ৬৯১টি স্থাপনায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ১০ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে।
ডিএনসিসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) তৃতীয় পর্যায়ে ১০ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযান আজ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট থেকে শুরু তৃতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযানে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৪টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৬৯১টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৭৭ হাজার ৩৩২টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মোট ১০ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আজ চিরুনি অভিযানের শেষ দিনে ১২ হাজার ৬৭৩টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৫৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৫৭৫টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ৯টি মামলায় মোট ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ৪১০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ৭৮টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬টি মামলায় ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৩২৬টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩২২টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৩৩৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৮২৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩টি মামলায় মোট ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৪৯৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭৮০টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ৩৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৪৭৯টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ২১৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৭১টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৭৯৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬৫৬টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৯৬৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে ৬৩৬টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৪৯৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ২৭৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৫৯২টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ৪৫৪টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
চিরুনি অভিযান চলাকালে সম্ভাব্য সকল এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।