বাসস দেশ-৩৫
প্রকল্প-অগ্রগতি-সভা
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ৮৭.৩৭
ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ৮৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের জুন, ২০২০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এতথ্য জানানো হয়।
রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে গতকাল বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এই পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরো জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১৯টি প্রকল্পে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ছিলো ৫ শত ৫০ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। এর বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৪ শত ৮০ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জুন, ২০২০ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ৮৭.৩৭ শতাংশ।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম স্বচ্ছতা, আন্তরিকতা ও একাগ্রতার সাথে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদারসহ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এতে প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আপনাদের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রত্যাশা করি। সকলকে নিজ নিজ দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ কারণে বুলবুল, আম্ফান, বৃষ্টি, বন্যা, কোভিড-১৯ এই ৫টি প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেও বিশ্বের কাছে এখনো বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আশা করি প্রত্যাশার জায়গা আপনারা পূরণ করবেন।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, ‘সরকারি অর্থ হিসেব করে যথাযথ বিধি-বিধান মেনে ব্যয় করতে হবে, যাতে একটি টাকাও অপচয় না হয়। কাজের ক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে প্রকল্প পরিচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।’
বাসস/সবি/এমএন/১৯৫৫/-এএএ