নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের আহ্বান স্পিকারের

226

ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সকল প্রকার হয়রানি ও সহিংসতা প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বুধবার রাতে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব স্পিকার্স অব পার্লামেন্ট-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ আহবান জানান। এসময় একে অপরের পরিকল্পনা বিনিময়ের মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বানও জানান স্পিকার।
তিনি বলেন, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা এবং বাল্যবিয়ের অবসান ঘটাতে আইপিইউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সংসদের পর্যবেক্ষণশীল ও কার্যকর ভূমিকা রাখার পাশাপশি সংসদীয় চর্চার মাধ্যমে এই সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান জরুরি। নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার হয়রানির অবসান ঘটাতে এর অনুকূলে আইন প্রণয়ন করতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পঞ্চম ওয়ার্ল্ড স্পিকার্স কনফারেন্স সমসাময়িক এবং উদীয়মান চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আলোচনার একটি প্লাটফর্ম। সেই সাথে মহামারি কোভিড-১৯ পরবর্তী অবস্থায় বিশ্বের সকল মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের ওপর বিপুল প্রভাব মোকাবেলায় উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করতে সাহায্য করছে এই কনফারেন্স।
‘মেকিং জেন্ডার ইকুয়ালিটি এন্ড দ্যা এম্পাওয়ারমেন্ট অব ওমেন এন্ড গার্লস এ রিয়েলিটি: বেস্ট প্রাকটিসেস এন্ড পার্লামেন্টারি কমিটমেন্টস’ এর উপর রিপোর্ট উপস্থাপনকালে স্পিকার বলেন, বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মেয়েরা বাল্যবিয়ের শিকার হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ মহামারি নারীদের বিরুদ্ধে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতাকে বৃদ্ধি করেছে। এই মহামারি পারিবারিক সহিংসতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। বাল্যবিয়ে ও সহিংসতার আশু প্রতিকারকল্পে সমন্বিত প্রচেষ্টার পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও স্থানীয় অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটানো জরুরি।
ক্লেইরি ডুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কেনিয়ার স্পিকার কেনেথ লুসাকা ও রুয়ান্ডার স্পিকার ডোনেটিল মুকাবালিসা রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। আইপিইউ এর প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েলা চুয়েভাস ব্যারন, অস্ট্রিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল এর প্রেসিডেন্ট ওফগ্যাং সবতকা ও জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আরমা দত্ত এমপি, রওশন আরা মান্নান এমপি, অপরাজিতা হক এমপি, রুমানা আলী এমপি ও পীর ফজলুর রহমান এমপি বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ডেলিগেশনের অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়স্থ কেবিনেট কক্ষ হতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।