ভোলায় ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

361

ভোলা, ৫ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : চলতি মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলায় ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন আউশ ধানের চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফশী ১ লাখ ১১ হাজার ৮৭২ মে.টন ও স্থানীয় জাত ৫৭ হাজার ২৮৮ মে.টন উৎপাদন হবে। এর জন্য মোট আউশ ধান আবাদ হবে ৮৭ হাজার ৯২২ হেক্টর জমিতে। এপ্রিলের প্রথম থেকে আউশ আবাদ শুরু হয়ে ইতোমধ্যে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। মে মাস পর্যন্ত ধান আবাদ কার্যক্রম চলবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহা বাসস’কে বলেন, এ বছর জেলায় জেলায় আউশ আবাদে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ১১ হাজার ১০০ কৃষকের মাঝে সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হবে। প্রত্যেককে উফশী বীজ দেওয়া হবে ৫ কেজি ও নেরীকা বীজ ৫ কেজি করে। এ ছাড়া ইউরিয়া সার ২০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি করে সার দেওয়া হবে। একই সাথে সেচ ও আগাছা দমনের জন্য প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। বর্তমানে বীজ, সার ও কৃষকদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এসব সহায়তা বিতরণ করা হবে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো হুমায়ুন কবির জানান, জেলার ৭ উপজেলায় মোট আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) রয়েছে ৪৩ হাজার ৮৭০ হেক্টর ও স্থানীয় ৪৪ হাজার ৫২ হেক্টর জমি। নির্ধারিত জমি থেকে ধানের চাল হবে ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৪০ মে:টন। বর্তমানে বীজ রোপণের মাধ্যমে নতুন চারা গাছের যতেœ ব্যস্ত কৃষকরা। কেউ কেউ আবার জমি প্রস্তুত শেষে বীজ রোপণ করছে।
প্রশান্ত কুমার আরো বলেন, বর্তমানে মাঠে বোরো ধান রয়েছে। এপ্রিল মাস পুরোটা লাগবে এ ধান ঘরে তুলতে। তারপরেও বিশেষ করে নদী তীরবর্তী এলাকায় অনেক কৃষক আউশ আবাদ শুরু করেছেন। যদিও পুরোদমে আবাদ শুরু হতে ১ মাস লাগবে। এ জেলায় প্রতি বছরই আউশের ফলন ভালো হয়। তাই শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় অবশ্যই আবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন জেলার প্রধান এ কৃষি কর্মকর্তা।