ফিটনেসে খুশি মিসবাহ

353

লন্ডন, ১৯ আগস্ট ২০২০ (বাসস) : আগামী শুক্রবার থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে পাকিস্তান। সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে নিজ দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেসে খুশি পাকিস্তানের কোচ ও প্রধান নির্বাচক মিসবাহ উল হক।
করোনাভাইরাসের কারনে তিন সপ্তাহে তিনটি টেস্ট খেলতে হচ্ছে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের।
দারুন পারফরমেন্স করে ৩ উইকেটে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতেছিলো ইংল্যান্ড। ফলে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে এখন ইংলিশরা। তবে দ্বিতীয় টেস্টে খুব বেশি মাঠে নামতে হয় দু’দলকে। কারন বৃষ্টির কারনে পাঁচদিনে খেলা হয়েছে ১৩৪ দশমিক ৩ ওভার। ফলে ম্যাচ ড্র হয়।
২০১৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মিসবাহ, দীর্ঘদিন ধরে খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে সচেতন ছিলেন।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ওয়েবসাইটে লেখা এক কলামে মিসবাহ বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে আমি দলের কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ফিটনেস কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়ায় এবং আমরা দু’টি টেস্টে সেই সুবিধাগুলো লক্ষ্য করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনার কারনে বাড়িতে তিনমাস থাকার পর, খেলোয়াড়রা তাদের ফিটনেসের দায়িত্ব নিজেরাই নিয়েছে। এজন্য তাদের কৃতিত্ব দেয়া উচিত। তারা জানে, চাপের মধ্যে পারফরমেন্স করতে ফিটনেস অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।’
সিরিজের প্রথম টেস্টে হারলেও, ওপেনার শান মাসুদ ১৫৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ম্যানচেষ্টারে বৃষ্টিবিঘিœত দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান যখন চাপের মুখে পড়েছিলো তখন ৭২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাই ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
মিসবাহ বলেন, ‘রিজওয়ান যেভাবে ব্যাট করেছে, তা ফিটনেসের সেরা উদাহরণ। তার রানিং বিটুইন দ্য উইকেট ও টেল-এন্ডারদের নিয়ে রিজওয়ানের লড়াই সেটিই প্রমান করে।’
মাসুদের ইনিংস নিয়ে মিসবাহ বলেন, ‘প্রথম টেস্টে মাসুদ সেরাটা প্রদর্শন করেছে। প্রায় আট ঘন্টা ব্যাট করেছে। শাদাবের সাথে রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও ভালো ছিলো। তারা যেভাবে সিঙ্গেল রানগুলো নিয়েছে, তা টেস্ট ক্রিকেটে খুব বেশি দেখা যায় না এবং অবশ্যই পাকিস্তান দলে নয়।’
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি ছিলো পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। এর আগে দেশের ক্রিকেটে কিছু উল্লেখযোগ্য মূর্হুতের সাথে মিলেছিলো।
মিসবাহ বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন স্বাধীনতা দিবস পালন করা বিশেষ কিছু। ইংল্যান্ডে আগে সফরগুলোতে পাকিস্তানের দুর্দান্ত কিছু স্মৃতি রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের পর ১৯৫৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মত টেস্ট জয় করে পাকিস্তান। ১৯৮২ সালে লর্ডসে দারুন এক জয় আছে, তবে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোন থেকে, ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট ওভাল টেস্ট জয়ে সিরিজে সমতা আনতে পেরেছিলাম।
কিন্তু দুভার্গ্যক্রমে, বৈরি আবহাওয়ার কারনে পাকিস্তানের ঐতিহাসিক দিনে সফল হতে পারেনি। তবে তৃতীয় ও শেষ টেস্টে জয় তুলে নিয়ে দেশকে উপহার দিতে চান মিসবাহ, ‘আমরা আশা করছি, শেষ টেস্টে আমরা দেশকে জয় উপহার দিতে পারবো এবং আরেকটি স্বাধীনতা দিবস ঘোষনা করতে পারি। তবে কোচ হিসেবে, আমি বলতে পারি, এটি স্বাধীনতার মাস।’