বাসস দেশ-৩৪ : ডিএনসিসির ৭২ স্থাপনায় লার্ভা, ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা

120

বাসস দেশ-৩৪
ডিএনসিসি-জরিমানা
ডিএনসিসির ৭২ স্থাপনায় লার্ভা, ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা, ১৯ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : নগরীর ৭২টি স্থাপনায় ডেংগুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিস্টদের ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেংগু থেকে সুরক্ষা দিতে তৃতীয় পর্যায়ে বিশেষ পরিছন্নতা অভিযান বা চিরুনি অভিযানের আজ নবম দিনে এ জরিমানা করা হয়।
গত ৬ থেকে ১৫ জুন প্রথম ও ৪ থেকে ১৪ জুলাই দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শেষে ৮ আগস্ট থেকে তৃতীয় পর্যায়ের ১০ দিনব্যপী চিরুনি অভিযান শুরু হয়। চিরুনি অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত আরও জোরদার করা হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে ভবন বা স্থাপনার মালিক পাওয়া যাবে না, সেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিয়মিত মামলা করা হবে।
ডিএনসিসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ১৩ হাজার ১৫০টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৭২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৯৪৪টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ১৫টি মামলায় মোট ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ৮ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৩০১টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৬৩৫টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৬৯ হাজার ৭৫৭টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মোট ৯ লাখ ৩১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আজ উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ১৭৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৯৬৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪টি মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৪২৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ২৫৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫টি মামলায় মোট ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৩৯৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৯২৬টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৩টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৫৪৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯২৬টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ৩৬২টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৭৫৮টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৩৯৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৭৬টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৮১৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬২৪টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৩টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৭৫৯টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে ৪৭৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫২৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৩১৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৭৪৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিককে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৮৪টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
চিরুনি অভিযান চলাকালে সম্ভাব্য সকল এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৯২৪/কেকে