লিঁওকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই শিরোপা প্রত্যাশী বায়ার্নের

520

লিসবন, ১৮ আগস্ট ২০২০ (বাসস/এএফপি) : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে আগামীকাল সেমি-ফাইনালে জায়ান্ট কিলার লিঁওর মোকাবেলা করবে ট্রেবল শিরোপা জয়ের জন্য মরিয়া বায়ার্ন মিউনিখ। এ ম্যাচেও বার্সেলোনার বিপক্ষের ন্যায় আধিপত্য বিস্তার করতে চায় শিরোপা লোভী বেভারিয়ানরা।
অবশ্য সাবেক ক্লাবকে নিয়ে বায়ার্নকে সতর্ক করে দিয়েছেন মিডফিল্ডার তোলিসো। ২০১৭ সালে লিঁও ছেড়ে বায়ার্নে যোগ দেয়া এই মিডফিল্ডার বলেন,‘ জার্মানদের দৃস্টিকোন থেকে লিঁও হচ্ছে একটি অখ্যাত ক্লাব। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচে আমরা সবাই দেখেছি ক্লাবটি কতটা পারদর্শী। আমরা কখনো তাদের হাল্কা ভাবে নিতে চাই না। যখন কোন বড় খেলা হয়, তখন ভোল্ট পাল্টে ফেলে লিঁও। আকষ্মিকভাবে ভাগ্যের সহায়তা নিয়ে কোন দল সেমি-ফাইনালে পৌঁছাতে পারে না। ’
কোয়ার্টার ফাইনালে বদলী হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে পেপ গার্দিওলার দলকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেন লিঁও’র বদলী খেলোয়াড় মুসা ডেম্বেলে। সিটিকে অনুসরণ করার কোন ইচ্ছে নেই বায়ার্নের।
শেষ আটের লড়াইয়ে বার্সেলোনার মত দলকে ৮-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েই শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে বেভারিয়ানরা। যা তাদের মনোবলকে আরো সুদৃঢ় করেছে। বায়ার্নের বর্তমান স্কোয়াডটিকে ২০১৩ সালের দলের সঙ্গে তুলনা করেছেন ডিফেন্ডার জেরোমে বোয়াটেং। যে দলটি ক্লাবের ইতিহাসে ট্রেবল শিরোপা জয় করেছিল। ওই সময় বুন্দেস লীগা, জার্মান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জয় করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ।
২০১৩ সালের ওই স্কোয়াডের কথা স্মরণ করে বোয়াটেং বলেন,‘ সত্যিকার অর্থে প্রথমদিক থেকেই আমি বুঝতে পারছিলাম বড় কিছু একটা ছিল। সেটি হচ্ছে এই মৌসুমে আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্যটি অর্জন করা। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সুচনা থেকেই আমরা সেরা খেলাটা খেলে আসছি। আর সম্ভবত বুন্দেস লীগায় আমরা এর প্রমান দিয়েছি। পুরো সময় জুড়ে আমরা ছিলাম একেবারেই ক্ষুনে মেজাজে।’
জার্মান মিডিয়ার একটি প্রবাদ আছে, ‘এফসি নেভার সেটিসফাইড’ অর্থাৎ এফসি কখনো তৃপ্ত হয়না। বায়ার্নের বর্তমান এই তারকাদের মধ্যেও এমনই ক্ষুধা বিরাজমান আছে। তারা সব সময় গোলের জন্য ক্ষুধার্ত থাকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বায়ার্নের গড় গোল ৪.৩৩। টুর্নামেন্টটির এটি একটি নতুন রেকর্ড। ইউরোপীয় আসরে এই মৌসুমে নয়টি ম্যাচে তারা আদায় করেছে ৩৯টি গোল। তন্মধ্যে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ৭-২ গোলে এবং রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে ৬-০ গোলের জয়টিও অন্তর্ভুক্ত।
১৪ গোল করে আসরের সর্বাধিক গোলদাতার আসনটি দখলে রেখেছেন বায়ার্নের স্ট্রাইকার রবার্ট লিওয়ানদোস্কি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সর্বাধিক গোলের রেকর্ড থেকে মাত্র ৩ গোলে পিছিয়ে আছে। ২০১৩-১৪ মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলর রেকর্ডটি গড়েছিলেন ওই পুর্তগাল তারকা।
তবে লিঁওর বিপক্ষে কোন কিছুরই নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। নিজেদের সর্বশেষ ২০ ম্যাচে জয়লাভ করার পরও বোয়াটেং বলেন,‘ পরের ম্যাচটি সব সময়ই কঠিন। এখন বার্সেলোনার বিপক্ষে বিশাল জয়টিও কিছু না।’