মুজিববর্ষে কোটি গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে দেশে সবুজ বিপ্লব হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

176

ঢাকা, ১৮ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত এক কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে সবুজ বিপ্লব সাধিত হবে।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী দেশে আসার পর ১৯৮৪ সাল থেকে প্রতিবছরই কৃষক লীগের মাধ্যমে গাছ লাগাতেন। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের তিন মাসই এই কর্মসূচি চলতো। এখনও সেটা চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার ঢাকায় সংসদ ভবন চত্বরে ‘মুজিববর্ষ ২০২০’ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আয়োজিত বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ২০২০ সাল ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ বিভিন্ন প্রজাতির বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ২৬ জুলাই সংসদ ভবন চত্বরে বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদ ভবন চত্বরে ৩৫০ থেকে ৫০০ টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নেরর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। জাতি শোকাহত। ১৫ আগস্টের ঘটনা, একটি জঘন্যতম ঘটনা। খুনিরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। তাদের হাত থেকে নারী, শিশু, গর্ভবতী মা’ও রক্ষা পায়নি। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে থাকেন। বিশ্বে দ্বিতীয় কোন রাজনৈতিক দল এভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেনা। এজন্যই সারাবিশ্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পরিবেশবান্ধব রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান’ কিন্তু উদ্যান ছিলনা। এখানে ঘোড়ার দৌড় হত এবং সেটা নিয়ে বাজি খেলা হত। বঙ্গবন্ধু সেটাকে বাতিল করে দিয়ে, সেখানে তিনি উদ্যান করেছেন। বঙ্গবন্ধু সেখানে নারকেল গাছের চারা লাগিয়েছিলেন। আজকে সেটা উদ্যানে পরিণত হয়েছে। রাজধানীবাসীকে স্বাস্থ্যকর ও ফুসফুসের প্রশান্তির জন্য বঙ্গবন্ধু একটি উদ্যান উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সমুদ্র তীরবর্তী উপকূলীয় এবং সুন্দরবন এলাকায় গাছের চারা লাগিয়েছেন। সেটা আজকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা করছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি, হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, নাদিরা সুলতানা এমপি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।