চট্টগ্রামে নতুন করে আরো ১২৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত

209

চট্টগ্রাম, ১৮ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে টানা কয়েকদিন করোনার সংক্রমণের হার কম থাকার পর গতকাল হঠাৎ বেড়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে ১২৮ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের পাঁচটি ও কক্সবাজারের একটি ল্যাবে গতকাল সোমবার ৮২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে মহানগরীর আওতাধীন ১০৩ জনসহ চট্টগ্রামে ১২৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের তথ্য মিলে।
এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৬৫ জন। একইসময়ে করোনাক্রান্তদের একজন মারা গেছেন ও সুস্থ হয়েছেন ৬৭ জন। ফলে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৫৩ ও সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫৭০ জন।
রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমিত হন ৩৬ জন, সংক্রমণ হার ছিল ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মারা গিয়েছিলেন ১ জন। ১৫ আগস্ট ৩৪ জন পজেটিভ বলে শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এদিন আক্রান্ত কারো মৃত্যুও হয়নি। ১৪ আগস্টের নমুনা পরীক্ষায় ১০০ জনকে পজেটিভ শনাক্ত করা হয়, সংক্রমণ হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিন এ সময়ের সর্বোচ্চ ৪ জন মারা যান।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে জানা যায়, গতকাল সোমবার সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আক্রান্তদের মধ্যে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৪৪ জন রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৭৮টি নমুনায় ২৮টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে নগরীর বাসিন্দা ২২ জন। বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ল্যাবে ১৫৬টি নমুনায় ২৯টিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়, যাতে নগরীর নমুনা আছে ২৮টি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৫০ জনের নমুনায় পরীক্ষা হলে বিভিন্ন উপজেলার ১৫ জনসহ ২৪ জন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত বলে চিহ্নিত হন।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ল্যাবে ৪৬টি নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলেও কারোরই মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেনি।
উপজেলায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ ফটিকছড়িতে ৬ জন। এছাড়া, হাটহাজারী ও বোয়ালখালীতে ৩ জন করে, পটিয়া ও সীতাকু-ে ২ জন করে এবং আনোয়ারা ও রাউজানে ১ জন করে রয়েছেন।