‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ চিত্রকর্মের ৩ দিনের প্রদর্শনী সমাপ্ত হলো বগুড়ায়

506

বগুড়া,১৮ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : “ যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই .. । যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো.. বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চায় …মুক্তি চায়..”। যদি বঙ্গবন্ধু আবারও আমাদের মাঝে ফিরে আসতেন তবে সেই সময় হয়তো “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব” কে কাছে পেয়ে আবেগে ভাসতো বাংলার মানুষ।গগন বিদরী স্লোগানে স্লোগান মুখরিত হতো রাজপথ। কিন্তু ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে তাঁকে ও তার পরিবারের সকল সদস্যকে বুলেট বিদ্ধ করে মেরে ফেললো নর পশুরা। বঙ্গবন্ধুর ছোট্ট শিশু রাসেলকেও ওরা রেহায় দেয়নি। এ সব কিছুই ফুটিয়ে তুলেছে বগুড়ার চিত্র শিল্পী প্রনব সরকার ।
পৌর আওয়ামলীগী নেতা আব্দুল মান্নান আকন্দ এ আয়োজন করেন । তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার পথে হাঁটতে এবং জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
জাতির পিতা ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ কে রংতুলি আঁচড় দিয়ে কর্মময় জীবনের ১২৩ টি চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন চিত্র শিল্পী প্রনব সরকার। ১৫ আগষ্ট থেকে ৩ দিন ব্যাপী‘ এ চিত্র কর্মের সমাপ্তী হলো সোমবার সন্ধ্যায়। সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলে সমাপনি অনুষ্ঠান।
বঙ্গবন্ধুর চিত্রকর্ম দেখতে শত শত মানুষর ঢল নামে শহরের বাদুড়তলা শুকরা কমিউনিট সেন্টারে।চিত্র কর্ম দেখে মনে হবে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ বর্নাঢ্য রাজনৈতিক কর্মকান্ড যেন চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের চিত্র দেখার পর চোখ বন্ধ করলে মনে হবে জীবিত বঙ্গবন্ধু যেন চোখের সামনে ভাষণ দিচ্ছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী‘ প্রদর্শনীর শেষ দিন সোমবার সন্ধ্যায় প্রদর্শনীর সমাপ্তি টানলেন বগুড়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান এড. রেজউি করিম মন্টু। প্রদর্শনীর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তারা কললেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায়। এদিন জাতি হারিয়েছে তার প্রাণ পুরুষকে আর দেশ হারিয়েছে তার স্থপতিকে এবং ইতিহাস হারিয়েছে তার রচনাকারীকে। স্বাধীনতার মহানায়ককে নিমর্মভাবে হত্যার মধ্যদিয়ে তারা বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়।