বাসস দেশ-২০ : ডিএনসিসির ৭০ স্থাপনায় লার্ভা, সোয়া লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

160

বাসস দেশ-২০
ডিএনসিসি-জরিমানা
ডিএনসিসির ৭০ স্থাপনায় লার্ভা, সোয়া লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : নগরীর ৭০টি স্থাপনায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিদের সোয়া লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে তৃতীয় পর্যায়ে বিশেষ পরিছন্নতা অভিযান বা চিরুনি অভিযানের আজ সপ্তম দিনে এ জরিমানা করা হয়।
গত ৬ থেকে ১৫ জুন প্রথম ও ৪ থেকে ১৪ জুলাই দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শেষে ৮ আগস্ট থেকে তৃতীয় পর্যায়ের ১০ দিনব্যপী চিরুনি অভিযান শুরু হয়। চিরুনি অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত আরও জোরদার করা হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে ভবন বা স্থাপনার মালিক পাওয়া যাবে না, সেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিয়মিত মামলা করা হবে।
ডিএনসিসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ১৩ হাজার ৫০৯টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৭০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ১৭৪টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ২০টি মামলায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ৮ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত মোট ৯১ হাজার ৮৭১টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৪৯৩টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৫৪ হাজার ২৩টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মোট ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আজ উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ২৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৮৭১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৯৭৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৫৬টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ২টি নিয়মিত মামলা করা হয় এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২টি মামলায় মোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৪৫৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৯২৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪টি মামলায় ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৪৪৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯১৫টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ৩৪৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৮০৫টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৩২২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৪৫টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৮৬১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬৭২টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৮৮৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। ৬১০টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৯টি মামলায় ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫১১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৩২২টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৬৮০টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিককে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৫৪টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
চিরুনি অভিযান চলাকালে সম্ভাব্য সকল এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৮২৫/-কেকে