খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ব্যতিক্রমধর্মী কৃষি পণ্য সংগ্রহ কেন্দ্র চালু

399

খাগড়াছড়ি, ১৭ আগস্ট, ২০২০ (বাসস): জেলার কৃষকদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে এখন আর যেতে হচ্ছে না হাট-বাজারে। দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারের মূল্যের সাথে প্রতিযোগীতা করে নিজ এলাকা থেকে শাক সবজিসহ মৌসুমী ফলমূল বিক্রি করছেন এ জেলার কৃষকরা। ক্রেতা ও বিক্রেতার সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে দিয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। জেলায় স্থাপন করা হয়েছে ৩৮টি কৃষি পণ্য সংগ্রহ কেন্দ্র। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যার সুফলও মিলেছে অনেকাংশে। করোনা পরিস্থিতিতে এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি কেন্দ্রে ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার পণ্য। একই অবস্থা ছিল জেলার অন্যান্য কেন্দ্রেও।
করোনা পরিস্থিতির এ সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত সবজি ও ফলমূলের বাজারজাত নিয়ে যখন বিপাকে কৃষকরা তখন ভিন্ন চিত্র পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়িতে। দূর্গম এলাকার অনেক কৃষকও বাজারে না গিয়ে কৃষি পণ্য সংগ্রহ কেন্দ্রের মাধ্যমে পাচ্ছেন ন্যায্য মূল্য।
পাহাড়ের উৎপাদিত শাক সবজি ও ফলমূল বাজারজাতের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ জেলার ৩৮ ইউনিয়নে চালু করেছে ব্যবস্থা।এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য মানিকছড়ির গাড়ীটানা,বাটনাতলী,যোহগ্যা ছোলা,মেরুং ও বেয়ালখালীর পণ্য সংগ্রহ কেন্দ্র। এ সব কেন্দ্রে সপ্তাহে ৩ দিন সোমবার ,মঙ্গলবার ও বৃহষ্প্রতিবার বেচা কেনা চলে ।
সকাল ৬টা হতে ১০টার মধ্যে চাষী/ কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য এ সব বিক্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসে তাদের প্রকৃত মূল্য নিয়ে চলে যাবে ।পরে ব্যাপারীরা সকাল ১১টা থেকে ১২ টার মধ্যে এ সেব কেন্দ্র থেকে পণ্য ক্রয় করে জেলার বাহিরে নিয়ে যেতে পারবে।এ ব্যবস্থায় সুবিধাভোগী ও বাজারে আসা যাওয়ার ঝামেলা না থাকায় ন্যায্যমূল্য পেয়ে খুশি কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আশার আলো দেখাচ্ছে এসব কেন্দ্র। আর ইউনিয়ন পর্যায় থেকে এ কার্যক্রম দূর্গম এলাকায় সম্প্রসারিত করার দাবি জনপ্রতিনিধিদের।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর মো: রবিউল ইসলাম জানান করোনা পরিস্থিতিতে এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র জেলার মানিকছড়ি উপজেলার একটি কেন্দ্রে ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার পণ্য। একই অবস্থা ছিল জেলার অন্যান্য কেন্দ্রেও।