জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ

271

ঢাকা, ১৪ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এম শামীম আহসান নিরস্ত্রীকরণ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বহুপাক্ষিক আলোচনাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, উন্নয়নের উত্তরণে একটি জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সবসময় অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার জন্য অস্ত্র মোতায়েনে বিপুল অর্থ সংস্থানকে সমর্থন করে।
এ বছর হিরোশিমা এবং নাগাসাকি পারমাণবিক বোমা হামলার ৭৫ তম বার্ষিকীতে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আহসান বৈশ্বিক নিরস্ত্রীকরণ বজায় রাখা এবং শক্তিশালী করার উপর জোর দিয়েছেন।
এ সময় তিনি ক্রমবর্ধমান সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যখন কোভিড-১৯ বিশ্ব অর্থনীতিকে নাড়া দিচ্ছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে, আমরা এখনো বেশ কয়েকটি দেশের সামরিক ব্যয় কমানোর কোন ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি না।
এই মহামারী এ ধরনের আকস্মিক এবং বিশাল সংকটের মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবীর দুর্বলতা এবং তার অপ্রস্তুতি উন্মোচন করেছে উল্লেখ করে আহসান এ জাতীয় জরুরি অবস্থার এক বৈশ্বিক সমাধান হিসাবে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা সম্মেলনের কাজের পাশাপাশি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং নিরস্ত্রীকরণে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে তা মোকাবেলা করার উপর জোর দিয়েছেন।
এ বছর পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির ৫০ তম বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করে জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক সম্মেলনের মহাসচিব তাতিয়ানা ভালোভায়া সম্মেলনে কাজ শুরু করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রায় ১১ বছরে একবার, নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করার সুযোগ তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আবর্তিত হয়।
তিনি বলেন, জেনেভাতে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন বলেছে এই সম্মেলনটি নয়টি পারমাণবিক রাষ্ট্রের ৬৫ টি সদস্যের মধ্যে নিরস্ত্রীকরণের আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হিসাবে স্বীকৃত।