জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ

213

ঢাকা, ১৪ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : যথাযোগ্য মর্যাদায় আগামীকাল ১৫ আগস্ট সারাদেশে স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- দেশের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত, কোরআন খতম, ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান, আলোচনা সভা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে প্রতিযোগিতা প্রভৃতি।
আগামিকাল শনিবার বাদ যোহর দেশের সকল মসজিদে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দসহ সকল শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হবে।
১৫ আগস্ট সকালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, ঢাকার বনানী কবরস্থান, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ ও জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ এবং রাজশাহীর হেতেম খাঁ মসজিদে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে ১৫ আগস্ট সকালে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ আগস্ট দিনব্যাপী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইসলামিক মিশনের সকল কেন্দ্রে ফ্রি চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে।
১৬ অথবা ১৭ আগস্ট তারিখে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল উপজেলা কার্যালয় ও ৫০টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র এবং ১৮ আগস্ট সকল বিভাগীয় বা জেলা কার্যালয় ও ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আলোচনা সভা, পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ আগস্ট সকাল ১১ টায় বিরাজমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি বা শিক্ষকবৃন্দ এবং বিশিষ্ট আলেম-ওলামা, খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিনদের অংশগ্রহণে জুম অ্যাপস এর মাধ্যমে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ শিরোনামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১৬ আগস্ট হতে অনলাইনে জুম অ্যাপস এর মাধ্যমে ক্বেরাত, ৭ই মার্চের ভাষণের অনুকৃতি ও উপস্থিত বক্তৃতা বিষয়ে বিভাগভিত্তিক প্রতিযোগিতা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকারীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।