বাসস ক্রীড়া-১ : অ্যাটলেটিকোকে হারিয়ে ঐতিহাসিক সেমিতে পিএসজির প্রতিপক্ষ লিপজিগ

124

বাসস ক্রীড়া-১
ফুটবল-চ্যাম্পিয়ন্স-অ্যাটলেটিকো-লিপজিগ
অ্যাটলেটিকোকে হারিয়ে ঐতিহাসিক সেমিতে পিএসজির প্রতিপক্ষ লিপজিগ
লিসবন, ১৪ আগস্ট ২০২০ (বাসস/এএফপি): অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমি-ফাইনালে উঠেছে জার্মান ক্লাব লিপজিগ। ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে টেইলর অ্যাডামসের জয়সুচক গোলে তাদেরকে শেষ চারে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
পর্তুগালের লিসবনের এস্তাদিও হোসে আলবালাদায় অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালের একক লীগের ম্যাচে হোয়াও ফেলিক্স এর পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোল দানি অলমোসের সুচনা গোলটিকে ম্লান করে দেয়ার পর অতিরিক্তি সময়ের অপক্ষো করছিলে অ্যাটলেটিকো। কিন্তু তাদেরকে বোকা বানিয়ে শেষ মুহুর্তে ডিফ্লেক্টেড শটে জয়সুচক গোলটি আদায় করে নেন অ্যাডামস।
এই জয় লিপজিগের জন্য বইয়ে এনেছে ঐতিহাসিক এক রাত। মাত্র ১১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি ২০১৬ সালে প্রথমবারের মত জার্মানীর শীর্ষ লীগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। আর চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ চারে পৌঁছে আরো একটি ইতিহাসের জন্ম দিল জুলিয়ান নাগেলসমানের দল।
খেলা শেষে লিপজিগের এই কোচ বলেন,‘ আমি এখন বিশে^র সবচেয়ে সুখি কোচদের একজন। আমরা মাঠে নিয়ন্ত্রণ রেখেছিলাম। তাই এই ফলাফল যথার্থ। অবশ্য দ্বিতীয় গোলটিতে ভাগ্যের কিছুটা সহায়তা ছিল। তবে রক্ষণভাগে আমরা সুযোগ তৈরী করতে পেরেছিলাম। আমার মতে দল হিসেবে আজ আমরা সেরা ছিলাম।’
এখন জার্মান এই ক্লাবের লক্ষ্য হচ্ছে মঙ্গলবার সেমিফাইনালে পিএসজিকে হারানো। ফরাসি এই চ্যাম্পিয়নরা ছয় মাসের মধ্যে মাত্র তিনটি প্রতিযোগিতামুল ম্যাচে অংশ নিয়েছে। গত মঙ্গলবার আটালান্টার বিপক্ষে তারা শেষভাগের গোলে কোন রকমে জয়লাভ করেছিল।
নাগেলসমান বলেন,‘ আপনি যখন পরের রাউন্ডে যাবেন, তখন চাহিদা আরো বাড়বে। এটাই স্বাভাবিক। আজ রাতে আমরা খুবই খুশি। কাল থেকে আমরা প্যারিস নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করব। সেটি হবে আরেকটি কঠিন ম্যাচ। তবে আমাদের আলাদা পরিকল্পনা আছে।’
আক্রমণ আর পাল্টা-আক্রমণে শুরু হওয়া ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন লিপজিগের মার্সেল হালস্টেনবার্গ। ছোট ডি-বক্সের সামনে ফাঁকায় বল পেলেও সেটি ভাসিয়ে দেন এই জার্মান ডিফেন্ডার।
ত্রয়োদশ মিনিটে অ্যাটলেটিকোর মিডফিল্ডার ইয়ানিক কারাসকোর নেওয়া জোরালো শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে থাকা লিপজিগ এরপর বেশ কয়েকবার আক্রমণে গেলেও ভাঙ্গতে পারেনি অ্যাটলেটিকোর জমাট রক্ষণ ।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে লিপজিগকে এগিয়ে নেন দানি অলমো। ডান দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে দর্শনীয় হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
৭১তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে অ্যাটলেটিকোকে ম্যাচে ফেরান হোয়াও ফেলিক্স। ডি-বক্সে পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় স্প্যানিশরা। নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে কপাল পোড়ে অ্যাটলেটিকোর। লিপজিগের জয়সূচক গোলটি করেন টেইলর অ্যাডামস। ডি-বক্সের সামনে থেকে তার নিচু শট অ্যাটলেটিকোর খেলোয়াড় স্টেফান সেভিচের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।
বাকি সময়ে ম্যাচে ফেরার প্রাণপণ চেষ্টা করে অ্যাটলেটিকো। কিন্তু আর গোলের দেখা পায়নি তিন বারের রানার্সআপরা।
২০০৯ সালে নতুন রূপে, নতুন মালিকানায় যাত্রা শুরু করা লিপজিগ পঞ্চম বিভাগ থেকে ৯ বছরের মধ্যে জার্মানির শীর্ষ লিগে ওঠে ২০১৬ সালে। এবার বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান লাভ করা ক্লাবটি চার বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে এসে প্রথমবার নকআউটে উঠেই সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিতে সক্ষম হল।
বাসস/এএফপি/এমএইচসি/১২৪০/স্বব