বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে চায় আলজেরিয়া

517

ঢাকা, ১৩ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : আলজেরিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে চায়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সাথে ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি আজ বৃহস্পতিবার এক অনলাইন বৈঠকে বাংলাদেশের সাথে তার দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
এ মূহূর্তে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ খুবই কম এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে আলজেরিয় সরকার প্রয়োজনে এফটিএ অথবা পিটিএ করতেও প্রস্তুত।
তিনি বলেন, আলজেরিয়ায় বাংলাদেশের বেশ কিছু পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তার দেশ প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে চায়।
উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এ সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও রাবাহ লারবি উল্লেখ করেন।
এ সময়, বাণিজ্যমন্ত্রী আলজেরিয়াকে বাংলাদেশেরে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৭৩ সালে উভয় দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশও আলজেরিয়ার সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এফটিএ অথবা পিটিএ স্বাক্ষর করা যেতে পারে। একই সাথে ১৯৭৩ সালে সম্পাদিত চুক্তির কোন বিষয়ে প্রয়োজন হলে সংশোধন করা হবে।
টিপু মুনশি বলেন, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতেও বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
আলজেরিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, তামাক এবং ফার্নিচারের ব্যাপক চাহিদার রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আলজেরিয়া বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে। তিনি বলেন ‘আমরাও এসব পণ্য রপ্তানি করতে চাই’।
টিপু মুনশি এসময় জানান,উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আলজেরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরেরও আমন্ত্রণ জানান।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে আলজেরিয়ায় রপ্তানি হয়েছে পাঁচ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের বাংলাদেশী পণ্য এবং একই সময়ে আমদানি হয়েছে ৯০ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য।