বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে কালকের ম্যাচেই মেসিকে সবচেয়ে কঠিনতম কাজটি করতে হবে

1179

মাদ্রিদ, ১৩ আগস্ট ২০২০ (বাসস/এএফপি): লিসবনে বায়ার্নের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে আগামীকালের ম্যাচে জয়ের জন্য মেসিকে এমন কলাকৌশল অবলম্বন করতে হবে, যা তাকে এর আগে কখনো করতে হয়নি। আগামী কাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে কোয়ার্টার ফাইনালের একমাত্র ম্যাচটি। বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হবে ম্যাচ।
স্তাদিও দ্যা লুজে রুদ্ধদ্বারে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের হাইভোল্টেজ সেমি-ফাইনালটি। কারণ ওই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে টিকে থাকা সেরা দুটি ক্লাব বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখ। যারা এর আগে পাঁচ বার করে জয় করেছে টুর্নামেন্টের শিরোপা। আন্ডার ডগ হিসেবে ইউরোপীয় টুর্নামেন্টের মত এত বড় আসরে মেসির বার্সেলোনার আসার সুযোগ খুব কমই ঘটে। কিন্তু বার্সেলোনা চির প্রতিদ্বন্দ্বি রিয়াল মাদ্রিদের কাছে লীগ শিরোপা হারালেও জার্মান লীগে একেবারেই বাাঁধাহীন ভাবে শিরোপা জয় করেছে বায়ার্ন। তারা জার্মান কাপও জয় করেছে।
মেসির বয়স এখন ৩৩ নবছর। তারপরও তার উপর অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বার্সেলোনাকে বেশী নির্ভরশীল হতে দেখা যাচ্ছে। ২০০৯ সালে পেপ গার্দিওলার নেতৃত্বাধীন কাতালান ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জয়েরর সময় কোয়ার্টার ফাইনালে এই বায়ার্নকেই পেয়েছিল প্রতিপক্ষ হিসেবে। ওই ম্যাচে মেসি একাই করেছিলেন দুই গোল। একই বছর তিনি আর্সেনালের বিপক্ষে করেছিলেন চারটি গোল। ২০১২ সালে বায়ার লিভারকুজেনের বিপক্ষে ৫ গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন সুপার স্টার। তবে ওই দুই আসরে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা।
২০১১ সালে সান্তিয়াগো বার্নব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদকেও ডুবিয়েছিলেন মেসি। প্রথম লেগে তার জোড়া গোলের কল্যানেই সেমিতে জায়গা করে নিতে পেরেছিল বার্সা। ওই ম্যাচে তার এমন একটি চমৎকার গোল রয়েছে যে গোলটি দীর্ঘদিন স্মরণ রাখবে দর্শকরা।
২০১৭ সালে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) বিপক্ষে বার্সেলোনাকে অসাধারণ ভাবে ফিরিয়ে আনার কারিগর ছিলেন মেসি। শেষ ষোলর প্রথম লেগে ৪-০ গোলে পরাজিত দলটি ফিরতি লেগে ফরাসি জায়ান্টকে বিধ্বস্ত করেছিল ৬-১ গোলে।
বর্তমান সময়ে অবশ্য হুমকির ধরন ভিন্ন। তার সহযোগী হিসেবে দলে আছেন লুইস সুয়ারেজ ও আঁতোয়ান গ্রিজম্যান। আর পেছনে থাকছেন ফ্রেঙ্কি ডি জং ও সার্জিও বাসকুইটস। ছিুুটা দূরে থাকছেন জর্ডি আলবা। এমনকি রক্ষনে থাকা গেরার্ড পিকে এখনো লা লীগার সেরা ডিফেন্ডার। আর মার্স-আন্দ্রে টের স্টেগান হচ্ছেন বিশে^র সেরা গোল রক্ষকদের একজন। সুতরাং মেসিকে একা কিছু করতে হচ্ছে না।
এদিকে বার্সা টিভিকে গ্রিজম্যান বলেন,‘ বায়ার্ন পুর্ন আত্মবিশ^াস নিয়ে সত্যি ভাল খেলছে। তবে তাদের হরানোর অস্ত্র আমাদের আছে।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে এর আগে ছয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। বায়ার্নের জয় তিনটি, বার্সেলোনার দুইটি। অন্য ম্যাচটি ড্র। তবে দুই লেগ মিলিয়ে নকআউট পর্ব পেরুনোর হিসাবে বার্সেলোনা দুইবার এবং বায়ার্ন একবার সফল হয়েছে।