জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি গ্রহণ

409

ঢাকা, ১৩ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : যথাযোগ্য মর্যাদায় আগামী ১৫ আগস্ট শনিবার সারাদেশে স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হবে।
জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- দেশের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত, কোরআন খতম, ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান, আলোচনা সভা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে প্রতিযোগিতা প্রভৃতি।
আগামিকাল শুক্রবার (১৪ আগস্ট) বাদ জুমা ও ১৫ আগস্ট শনিবার বাদ যোহর দেশের সকল মসজিদে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দসহ সকল শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হবে।
১৫ আগস্ট সকালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, ঢাকার বনানী কবরস্থান, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ ও জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ এবং রাজশাহীর হেতেম খাঁ মসজিদে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে ১৫ আগস্ট সকালে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ আগস্ট দিনব্যাপী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইসলামিক মিশনের সকল কেন্দ্রে ফ্রি চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে।
১৬ অথবা ১৭ আগস্ট তারিখে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল উপজেলা কার্যালয় ও ৫০টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র এবং ১৮ আগস্ট সকল বিভাগীয় বা জেলা কার্যালয় ও ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আলোচনা সভা, পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ আগস্ট সকাল ১১ টায় বিরাজমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি বা শিক্ষকবৃন্দ এবং বিশিষ্ট আলেম-ওলামা, খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিনদের অংশগ্রহণে জুম অ্যাপস এর মাধ্যমে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ শিরোনামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১৬ আগস্ট হতে অনলাইনে জুম অ্যাপস এর মাধ্যমে ক্বেরাত, ৭ই মার্চের ভাষণের অনুকৃতি ও উপস্থিত বক্তৃতা বিষয়ে বিভাগভিত্তিক প্রতিযোগিতা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকারীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।