সিনহা হত্যা মামলা : সাত জনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

301

কক্সবাজার, ১২ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা চার পুলিশসহ সাত জনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (আদালত নম্বর-৩) বিচারক তামান্না ফারাহ্ বুধবার তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডভূক্তরা হলেন- পুলিশের কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া এবং টেকনাফের শামলাপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আয়াছ, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিন।
মো. আয়াছ, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিন পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী ছিলেন । মঙ্গলবার তাদের আটক করে র‌্যাব।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিল আহমদ গত ১০ আগস্ট ৪ জন পুলিশের (আসামি) বিরুদ্ধে ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এই ৪ জনকে জেলা কারাগার ফটকে গত ৮ ও ৯ আগস্ট পর পর ২ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সিনহা হত্যাকান্ড নিয়ে তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
এরআগে গত ৬ আগস্ট আদালত থেকে রিমান্ডের আদেশ পাওয়া এই মামলার অপর ৩ আসামি বরখাস্ত হওয়া টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী (বরখাস্ত) ও এসআই নন্দলাল রক্ষিত (বরখাস্ত)কে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখনো তদন্তকারী কর্মকর্তার হেফাজতে নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ মোকাম্মেল হোসেন।
অন্যদিকে সিনহা হত্যা মামলায় সন্দেহজনক ও পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের শামলাপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আয়াছ, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিনকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে র‌্যাব । তাদেরকে আজ আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় র‌্যাব। আদালত শুনানী শেষে প্রত্যেককে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এই আদেশ দেন। এই ৩ জন ৩১ জুলাই রাতে মেজর (অবঃ) সিনহা মো. রাশেদ হত্যাকান্ডের পর পুলিশের দায়ের করা ২টি মামলার সাক্ষী ছিলেন।
গত ৩১ জুলাই খুন হওয়া মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ খানের বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কন্সটেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়।