দেশে নভেম্বর পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়ে ৫.৫৫ মিলিয়ন টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে

232

ঢাকা, ৯ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : দেশে চালের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ দশমিক ৫৪ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
আজ রবিবার ব্রি আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা : বাংলাদেশ কী চাল ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে?’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে মূল প্রবন্ধে ব্রি মহাপরিচালক ড. মো. শাহাজাহান কবীর এই তথ্য তুলে ধরেন।
সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি ছিলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান। মুখ্য আলোচক ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
ব্রি’র গবেষণায় দেখা গেছে, গত বোরো ও আমন মৌসুমের উদ্বৃত্ত উৎপাদন থেকে হিসাব করে, জুন পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে ২০ দশমিক ৩১ মিলিয়ন টন চাল ছিল। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত চাহিদা মেটানোর পরেও ৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন টন চাল দেশের অভ্যন্তরে উদ্বৃত্ত থাকবে।
নভেম্বর পর্যন্ত ১৬.৫০ কোটি মানুষের চাহিদা মিটানোর পরেও ৩৬-৭৮ দিনের চাল উদ্বৃত্ত থাকবে।
এছাড়া, নভেম্বরের মধ্যে দেশের ফুড বাস্কেটে নতুনভাবে আউশ ও আমনের উৎপাদন যুক্ত হবে। ফলে, বাংলাদেশে আপাতত খাদ্য ঘাটতির কোন আশঙ্কা নেই বলে ড. শাহাজাহান কবীর জানান।
সেমিনারে বলা হয়, ব্রি মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য জুলাই পর্যন্ত ৫টি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এগুলোর মধ্যে হাওরের ধান কর্তনে শ্রমিক ও যান্ত্রিকীকরণের ভূমিকা, সুপার-সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাব নিরূপণ, ধান চালের মজুদ পরিস্থিতি এবং বাজারমূল্যে এর প্রভাব, ৬৪ জেলায় কৃষকের মাঠের ফসল কর্তন এবং আউশ আবাদ পরিস্থিতি নিয়ে র‌্যাপিড সার্ভের মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
এসব গবেষণার ফল বিশ্লেষণে ৬৪টি জেলায় ব্রি কর্তৃক ১ হাজার ৪৮টি এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক ২ লাখ ১৩ হাজার ৮৬৯টি ফসল কর্তনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই সার্ভে কার্যক্রমে দেশের ৩৮টি জেলার ৫৭টি উপজেলা এবং ফসল কর্তনে ৬৪টি জেলা অন্তর্ভুক্ত ছিল।