বাসস দেশ-২৯ : দেনা-পাওনার ক্ষোভে ঠিকাদার খায়েরকে খুন করে মিলন : ডিসি গুলশান

124

বাসস দেশ-২৯
হত্যা-গ্রেফতার
দেনা-পাওনার ক্ষোভে ঠিকাদার খায়েরকে খুন করে মিলন : ডিসি গুলশান
ঢাকা, ৯ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : দেনা-পাওনার ক্ষোভের জের ধরে ঠিকাদার খায়েরকে খুন করেছে মিলন।
দেনা-পাওনার দ্বন্দ্বে ক্ষিপ্ত হয়ে মিলন প্রথমে রড এবং পরে কাঠ দিয়ে মাথায় একের পর এক আঘাত করে নির্মমভাবে হত্য করে আবুল খায়েরকে।
আজ রোববার দুপুরে ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় নিহত আবুল খায়ের ছিলেন গ্রেফতারকৃত মো. মিলনের ভগ্নিপতি। আবুল খায়েরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সজিব বিল্ডার্সে ‘রড বাইন্ডার’ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন মিলন।
সংবাদ সম্মেলনে গুলশান বিভাগের পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ভাটারা থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, গত শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এম ব্লকে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সজীব বিল্ডার্সের মালিক আবুল খায়েরের (৫২) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে ভাটারা থানা পুলিশ। এই ঘটনায় ভিকটিম আবুল খায়েরের মেয়ে বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার (৮আগস্ট) তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মূল অভিযুক্ত মো. মিলনকে (৪৪) গ্রেফতার করে ভাটারা থানা পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মিলন হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, গত ৬ আগস্ট বিকেল ৩টায় একটি ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হন আবুল খায়ের। প্রতিদিন সন্ধ্যার মধ্যে বাসায় ফিরলেও সেদিন ফেরেন নি। তার ফোনও বন্ধ ছিলো। পরে তার স্ত্রী রূপালী বেগম বসুন্ধরা এম ব্লকের একটি নির্মাণাধীন ভবনে যান। সেখানে গিয়ে রাস্তায় তার স্বামীর মোটরসাইকেল দেখতে পান। পরে তাকে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপুড় হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৮৪৮/কেকে