বাসস ক্রীড়া-৭ : দল থেকে ছিটকে পড়ার চিন্তায় ছিলেন ওকস-বাটলার

111

বাসস ক্রীড়া-৭
ক্রিকেট-টেস্ট
দল থেকে ছিটকে পড়ার চিন্তায় ছিলেন ওকস-বাটলার
ম্যানচেষ্টার, ৯ আগস্ট ২০২০ (বাসস) : ম্যানচেষ্টারে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের অসাধারন জয়ের মূল নায়ক স্বাগতিকদের উইকেটরক্ষক জশ বাটলার ও অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস। ২৭৭ রানের টার্গেটে ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন হারের মুখে ছিলো ইংল্যান্ড। তখন ইংল্যান্ড রক্ষা করেন বাটলার ও ওকস।
ষষ্ঠ উইকেটে ১৯৯ বলে ১৩৯ রানের মহামূল্যবান জুটি গড়েন বাটলার ও ওকস। বাটলার ৭৫ রান থামলেও, ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ওকস। অপরাজিত ৮৪ রান করেন ওকস।
বাটলার-ওকসের হাত ধরে ইংল্যান্ড পেল অসাধারন এক জয়। অথচ এই বাটলার-ওকসই দল থেকে ছিটকে পড়ার চিন্তায় ছিলেন।
ফর্মে ছিলেন না বাটলার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত টেস্টে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তার আগে ১৪ ইনিংস ছিলেন সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিহীন। তাই দলে বাটলারের অর্ন্তভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন ও সমালোচনা ছিলো ব্যাপক। তবে বাটলারের পাশে ছিলেন কোচ ক্রিস সিলভারউড ও অধিনায়ক জো রুট। তাদের পাশে পেয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠলেন বাটলার। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে হারের মুখ থেকে রক্ষা করে জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছেন তিনি।
তবে বাটলার নিজেও জানতেন, এই টেস্টে খারাপ করলে দল থেকে বাদ পড়াটা তার জন্য সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। ম্যাচ শেষে বাটলার বলেন, ‘অবশ্যই এই ভাবনা এসেছে, এবার রান করতে না পারলে এটিই আমার শেষ ম্যাচ। এসব ব্যাপার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো। তবে মাঠে নেমে সেই ভাবনাগুলো ভুলে গিয়ে খেলায় মনোযোগী হই এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। আমি সন্তুষ্ট যে, দলকে জয়ের স্বাদ দিতে পেরেছি।’
ব্যাট হাতে দলের জয়ে ভূমিকা রাখলেও উইকেটের পেছনে দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করতে পারেননি বাটলার। এমনটাই নিজেও জানেন তিনি। তাই কিপিংএ আরও উন্নতি চান বাটলার, ‘কিপিংএ খুব ভালো করতে পারিনি। কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছি। এখানে উন্নতি করতে হবে আমাকে।’
দলের পেস কম্বিনেশনের কারনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ওকস। সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমান করেছেন তিনি। দু’টেস্টে ১১ উইকেট নেন ওকস। তারপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অনিশ্চিত ছিলেন তিনি। এই টেস্টে বল হাতে ৪ উইকেট নিলেও, দলে নিজের জায়গা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন ওকস। কিন্তু অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসের পর, হয়তো দলে টিকে থাকা নিয়ে সন্দেহ নেই ওকসের।
তিনি বলেন, ‘দলে সুযোগ পাবো কি-না, সেটি নিয়ে চিন্তা করতে হতো। কারন দলের পেস কম্বিনেশনের বারণে এমন প্রশ্ন উঠতো । তারপরও সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিতাম। আবারও নিজেকে প্রমানের সুযোগ পেয়েছি, কাজে লাগিয়েছি। এবার ব্যাট হাতে দলের জয়ের ভূমিকা রেখেছি। আশা করি, জায়গা ধরে রাখার মত পারফরমেন্স করতে পেরেছি।’
বাসস/এএমটি/১৮৪৩/স্বব