বাসস দেশ-১৫ : ইসলামাবাদে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী পালন

116

বাসস দেশ-১৫
বঙ্গমাতা-ইসলামাবাদ
ইসলামাবাদে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী পালন
ঢাকা, ৯ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাই-কমিশনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের চ্যান্সারী ভবনে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইসলামাবাদে বসবাসরত প্রবাসি বাংলাদেশি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা এতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই এ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পৃথক বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আলোচনায় ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গমাতা ছিলেন জাতির পিতার একজন সহযোদ্ধা ও বিশ্বস্ত সহচর। ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একদিকে শক্ত হাতে যেমন সংসার সামলিয়েছেন, তেমনি আন্দোলন-সংগ্রামেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে উৎসাহ যুগিয়েছেন। বাঙালির অধিকার আদায়ের সুদীর্ঘ সংগ্রামের বাঁকে বাঁকে তাঁর প্রজ্ঞা আর পরামর্শ বঙ্গবন্ধুর সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সহজ করেছে।’
শনিবার রাতে ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং পরে এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সহধর্মিনী হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের মতো জীবন-যাপন করতেন। তাঁর বাড়িতে কোনো বিলাসী আসবাবপত্র ছিলো না, ছিলো না কোনো অহংকারবোধ। বরঞ্চ, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজেও বঙ্গবন্ধুর পাশে দাঁড়ান তিনি।
তারিক আহসান এ সময় উল্লেখ করেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অনেক বীরাঙ্গণাকে সামাজিকভাবে মর্যাদাসম্পন্ন জীবনে পুনর্বাসনে সাহায্য করেছেন। জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পাশে থাকার পর, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বঙ্গবন্ধু আর ছেলেমেয়েদের সাথে স্বাধীনতা বিরোধী, কু-চক্রী হায়নাদের হাতে শাহাদৎ বরণ করেন।
হাইকমিশনার বলেন, একজন গৃহিনী হয়েও কিভাবে দক্ষ-সংগঠক হিসেবে জাতীয় জীবনে অনবদ্য অবদান রাখা যায় বঙ্গমাতা তারই উজ্জ্বল নিদর্শন। তাঁর আদর্শ যুগে যুগে শুধু বাঙালি নারীদের জন্য নয়, পৃথিবীর সব দেশের নারীদের জন্য অনুরেণার উৎস হয়ে থাকবে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
শেষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনীভিত্তিক একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাসস/সবি-তবি/জেডআরএম/১৫৪০/-এএএ