বাসস দেশ-৯ : জামিন পেলেন শিপ্রা রাণী দেবনাথ, সিপাতের আদেশ কাল

106

বাসস দেশ-৯
শিপ্রা-জামিন
জামিন পেলেন শিপ্রা রাণী দেবনাথ, সিপাতের আদেশ কাল
কক্সবাজার, ৯ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : জেলার টেকনাফে গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সাথে থাকা গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থী শিপ্রা রাণী দেবনাথের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
একই সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া তাদের অপর সঙ্গি সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন শুনানী অনুষ্ঠিত হলেও আদেশের জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজারে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন।
শিপ্রা দেবনাথের আইনজীবী অরূপ বড়ুয়া তপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শিপ্রার বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলায় জামিন আবেদন করা হয়। শুনানী শেষে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত শিপ্রার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। আদেশের লিখিত কপি কারাগারে পৌঁছার পর যে কোন সময় শিপ্রা মুক্তি পাবেন।
অপরদিকে, নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের আরেক সহকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন আদেশের দিন সোমবার ধার্য্য করেছেন আদালত। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (টেকনাফ- ৩) এর বিচারক তামান্না ফারাহ এর আদালতে এই শুনানী অনুষ্টিত হয়।
সিফাতের আইনজীবী মাহবুবুল আলম টিপু জানান, পুলিশের কাজে বাধা প্রদান ও মাদকের দু’টি মামলায় সিফাতের জামিন আবেদন করা হয়। শুনানী শেষে জামিনের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছে আদালত।
গত ৩১ জুলাই (শুক্রবার) রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর গত ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে।
বুধবার (৫ আগস্ট) নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদি হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ জুডিসিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে প্রধান ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভূক্ত হয়েছে। পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার ৭ জন আসামী আদালতে আত্মসমর্পন করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।
এই মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র‌্যাবকে। আদালতে র‌্যাব প্রত্যেক আসামীর বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক ৭দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া অনুপস্থিত ২ জন আসামীকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
জেলা পুলিশের দাবি, মামলায় পলাতক থাকা এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোস্তফা নামের কোন পুলিশ সদস্য বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্র ও টেকনাফ থানায় কর্মরত ছিল না।
এদিকে শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২ টার পর থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের ফটকে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৪৫০/কেজিএ