লকডাউনকে আশীর্বাদ মনে করছেন মোমিনুল

309

ঢাকা, ৮ আগস্ট ২০২০ (বাসস) : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস লক ডাউন দেশের ক্রিকেটারদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মোমিনুল হক। কোভিড-১৯এর কারনে খেলোয়াড়রা খেলার প্রযুক্তিগত ও মানসিক দিক নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
তার মতে, যখন কোন খেলোয়াড় খেলা নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকেন, তখন তার পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজিত ব্যক্তিগত অনুশীলনে আজ যোগ দেন মোমিনুল। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে মোমিনুল বলেন, ‘লক ডাউনের সময় আমরা ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার সময় পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমাদের ক্রিকেট খেলা ছিলো না, ফিটনেস নিয়ে কিছু কাজ ছিলো, মনস্তাত্বিক দিক নিয়ে কিছু কাজ ছিলো, প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত দিক নিয়ে ভার্চুয়ালি কোচের সাথে কিছু কাজ ছিলো। নিজেদের দক্ষতার উন্নতির জন্য অনেকেই কোচদের সাথে আলোচনা করেছেন। আমি মনে করি, প্রত্যক খেলোয়াড়ই বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেছে। দীর্ঘমেয়াদে আমাদের কি উপকৃত হতে পারে, যখন আমরা ক্রিকেটে ব্যস্ত হয়ে পড়বো, তখন আমরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাব না। তাই এটি খুবই ভালো ছিলো।’
তবে যাই হোক না কেন, মোমিনুল জানান, মাঠের খেলার খুব মিস করেছেন এবং আবারো নিজের পরিচিত জায়গায় ফিরে আসতে পেরে খুশী হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আবারো ক্রিকেটে ফিরতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। লক ডাউনের পর আজই আমার প্রথম দিন, তাই সবকিছুই নতুন বলে মনে হচ্ছে। সব কিছুর সাথে মানিয়ে নিতে তিন-চারদিন সময় লাগবে।’
মোমিনুলের সাথে মিরপুর স্টেডিয়ামে সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে আরও সাতজন খেলোয়াড় আজ ব্যক্তিগত অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন।
ঢাকা ছাড়াও, শনিবার থেকে আরও চারটি ভেন্যুতে ১২জন ক্রিকেটার অনুশীলন শুরু করেছেন।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে পুনরায় অনুশীলন শুরু করছেন মেহেদি হাসান মিরাজ, মেহেদি হাসান ও নুরুল হাসান সোহান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম বক্তিগত অনুশীলনে নাসুম আহমেদ ও সৈয়দ খালেদের সাথে যোগ দিয়েছেন পেসার আবু জায়েদ রাহি ও এবাদত হোসেন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে নাইম হাসানের সঙ্গী হচ্ছেন, ইয়াসির আলি রাব্বি ও ইরফান শুক্কুর।
রাজশাহীর কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে যোগ দিবেন বাঁ-হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম।
আপতত, ছয় দিনের অনুশীলনের সূচি প্রকাশ করেছে বিসিবি। এরপরে আরও ক্রিকেটার অনুশীলনে যোগ দিলে এটি নতুন করে তৈরি করা হবে।
প্রথম পর্যায়ে ব্যক্তিগত অনুশীলন হয়েছিলো ১৯ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত।
করোনাভাইরাসের কারনে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে প্রথম দিকে অনুশীলনের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি বিসিবি। কিন্তু খেলোয়াড়রা নিজ থেকেই অনুশীলনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে বেশ কিছু দেশ নিজ দেশে ক্রিকেটীয় কার্যক্রম শুরু করেছে।