বাসস দেশ-১১ : জাপানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

111

বাসস দেশ-১১
বঙ্গমাতা-জন্মবার্ষিকী-পালন
জাপানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বিনম্র শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসায় মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে।
আজ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের চার্জ দ্যা এফেয়ারস ড. শাহিদা আকতার এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
আজ ঢাকায় এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে একথা বলা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দেশের সমৃদ্ধি, শান্তি ও দেশবাসীর কল্যাণে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়।
এসময় দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী সকলের উদ্দ্যেশে পাঠ করা হয়।
চার্জ দ্যা এফেয়ারস ড. শাহিদা আকতার বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর সাথে ছায়ার মতো অবস্থান করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের নিভৃত সহচর হিসাবে বিদ্যমান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান ও সহযোগিতা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, সংগ্রামী জীবনে বঙ্গবন্ধু জীবনের বেশির ভাগ সময় জেলে কাটিয়েছেন, আর এসময় সাহসী বঙ্গমাতা পরিবার দেখাশোনার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও আগলে রেখেছিলেন প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতার সাথে। আর এজন্যই কোন রাজনৈতিক পদধারী না হয়েও তিনি বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতীক।
ড. শাহিদা বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন একজন আদর্শ নারী যিনি পরিবারে স্ত্রী-মাতার ভূমিকায় কোমলতা আর দেশের প্রয়োজনে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কঠোরতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ছিলেন। বঙ্গমাতার আদর্শ দেশের নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে নারীদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যাতে তাঁরা বঙ্গমাতার জীবনকর্ম থেকে ত্যাগ, দেশপ্রেম, সাহস, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাসস/তবি/এমএন/১৩৪৫/-আসাচৌ