সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি : ক্ষতিগ্রস্তরা নিজ ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে

288

ঢাকা,৭ আগস্ট,২০২০ (বাসস) : দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।
দেশের উত্তর-পশ্চিম,উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় বিভিন্ন জেলার বন্যা-প্লাবিত অঞ্চল থেকে বন্যার পানিও সরে যাচ্ছে। কোথাও -কোথাও জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসায় বন্যা-দূর্গতরা আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ-নিজ ঘর-বাড়িতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। অপরদিকে,বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ‘ঘুরে দাঁড়াতে’ সরকারের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, আগামী ২৪ ঘন্টায়, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরো উন্নতি হতে পারে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, বাসস’র রংপুর অফিস ও বিভিন্ন জেলা সংবাদদাতার পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্রÑযমুনা অববাহিকার পাশাপাশি গংগা-পদ্মা বেসিন ও আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্রÑযমুনা বেসিনে নদ-নদীর ‘পানি-সমতল’ হ্রাসের বিদ্যমান অবস্থা আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। গংগা-পদ্মা বেসিন ও আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর ‘পানি-সমতল’ হ্রাসও আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও রাজধানী ঢাকার আশে-পাশের নদ-নদীর পানিও সমতলে হ্রাস পাচ্ছে,যা আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাসস’র রংপুর অফিস জানায়, ব্রহ্মপুত্রÑযমুনা অববাহিকায় নদ-নদীর ‘পানি-সমতল’ হ্রাসের প্রবনতা অব্যাহত থাকায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যা-পরিস্থিতির লক্ষ্যনীয় উন্নতি হয়েছে।
বন্যা-প্লাবিত অনেক এলাকায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করায় ক্ষতিগ্রস্তরাও নিজ-নিজ ঘর-বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর জোনের কর্মকর্তরা জানিয়েছেন,শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রÑযমুনা বেসিনে প্রধান নদ-নদীগুলোর সকল পয়েন্টে পানি বিপদ-সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উজানে পানির চাপ কমে যাওয়ার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর জোনের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষের বরাত দিয়ে বাসস’র রংপুর অফিস জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়ায় ১৬ সেন্টিমিটার,চিলমারীতে ১৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম ২৬ সেন্টিমিটার ও ঘাগটের পানি গাইবান্ধাই ৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে শুক্রবার এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, অতিবর্ষণ জনিত কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৩৩ টি জেলায় বন্যা-ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে ১১ হাজার ৬ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, ২ কোটি ৬২ লাখ ৬৫ হাজার ২’শ টাকা। এছাড়া, ঘর নির্মাণের জন্য ১’শ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।