বাসস দেশ-১২ : লেবানন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত নৌসদস্য আশঙ্কামুক্ত

107

বাসস দেশ-১২
নৌসদস্য-আশঙ্কামুক্ত
লেবানন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত নৌসদস্য আশঙ্কামুক্ত
ঢাকা, ৬ আগস্ট, ২০২০ (বাসস): লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত নৌসদস্য বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়, এই বিস্ফোরণে আহত ২১ জনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১১ জন।
আইএসপিআর জানায়, বৈরুত বন্দরের একটি ওয়্যারহাউজে ভয়াবহ বিষ্ফোরণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অধীনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ বিজয়-এর ২১ জন সদস্য আহত হয়েছিল। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকাবস্থায় একজনকে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত মেডিকেল সেন্টার (এইউবিএমসি)-এ ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত নৌসদস্য বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।
অন্যান্যদেরকে ইউনিফিলের তত্তাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হেলিকপ্টার বা এম্বুলেন্সযোগে হামুদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিলের সার্বিক তত্ত্ববাবধানে আহত নৌসদস্যদের চিকিৎসা চলছে।
এ বিষয়ে নৌবাহিনী জাহাজ, ইউনিফিল সদর দপ্তর ও বৈরুতস্থ বাংলাদেশী দূতাবাসের সাথে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। ইউনিফিল হেড অব মিশন এবং ফোর্স কমান্ডার ও মেরিটাইম টাস্কফোর্স কমান্ডার সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। ঘটনার পর পরই বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মোস্তাহিদুর রহমান সরেজমিনে বানৌজা বিজয় পরিদর্শন করেন এবং আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর ও যথাযথ চিকিৎসা প্রদানে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল হতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে ।
ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বর্তমানে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বিজয়’ ইউনিফিলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। জাহাজটি লেবাননের ভূ-খন্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সাথে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি লেবানীজ জলসীমায় জাহাজটি মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের উপর গোয়েন্দা নজরদারী, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানীজ নৌসদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ করে যাচ্ছে।
বাসস/আইএসপিআর/এমএন/১৩৩০/-আসাচৌ