বাসস ক্রীড়া-১ : সমর্থকদের মাঠে প্রবেশে জার্মান ক্লাবগুলোর সম্মতি

150

বাসস ক্রীড়া-১
ফুটবল-জার্মানী
সমর্থকদের মাঠে প্রবেশে জার্মান ক্লাবগুলোর সম্মতি
বার্লিন, ৫ আগস্ট ২০২০ (বাসস) : করোনাভাইরাস মহামারী সত্তেও আগামী মাস থেকে সীমিত আকারে স্টেডিয়ামগুলোতে সমর্থকদের প্রবেশের অনুমতির ব্যপারে লিগ কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতায় পৌঁছেছে জার্মানীর শীর্ষ দুই বিভাগের ক্লাবগুলো।
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে জার্মানীতে শুরু হতে যাচ্ছে ২০২০-২১ সালের নতুন মৌসুম। আর তাই নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে জার্মান ফুটবল লিগ (ডিএফএল) পরিকল্পনা করেছিল একেবারে শুন্য না রেখে সীমিত আকারে হলেও সমর্থকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দিতে। এক্ষেত্রে তাদের অবশ্য ক্লাবগুলোর সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। চারটি মূল পয়েন্টে ক্লাবগুলো লিগে এই প্রস্তাবকে মেনে নিয়েছে। সমর্থকদের পুরো ম্যাচে বসে থাকতে হবে, টিকিটগুলো ব্যক্তিগত পরিচয়ে বিক্রি করা হবে যাতে করে প্রয়োজনে ঐ ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়, অক্টোবর পর্যন্ত ম্যাচে সব ধরনের মধ্যপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং বছরের শেষ পর্যন্ত কোন ম্যাচেই কোন এ্যাওয়ে সমর্থক প্রবেশ করতে পারবে না।
সোমবার পুরো পরিকল্পনা নিয়ে জার্মান কর্তৃপক্ষ এবং ১৬টি প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রাণলয়ের সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত জার্মানীতে ২ লাখ ১১ হাজার ২৮১ জন শনাক্ত হয়েছেন ও মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজারেরও বেশী। এপ্রিলের পর থেকে সেখানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও সম্প্রতি দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমনে আবারো লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
ক্লাবগুলোর সাথে ভার্চুয়াল সভার পর বুন্দেসলিগার প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টিয়ান সেইফার্ট বলেছেন, ‘জার্মনীতে এই মুহূর্তে পুরো স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকের উপস্থিতি আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। কখন এবং কত সংখ্যক মানুষ স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি পাবে সেই সিদ্ধান্ত ডিএফএল নিতে পারেনা।’
সমর্থকদের মাঠে ফেরা নিয়ে ইতোমধ্যেই জার্মানীতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। বেশীরভাগ মানুষই মনে করেন এই ধরনের অনুমতির ফলে জার্মানীতে দীর্ঘমেয়াদে করোনার সংক্রমন বেড়ে যাবে। যদিও লিগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মহামারীর পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোন ধরনের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন অস্থায়ীভাবে তারা করতে প্রস্তুত আছে।
সেইফার্ট জানিয়েছেন সংক্রমনের হার নিয়ে তারাও সার্বক্ষনিক বিবেচনা করছে। তিনি আরা বলেন, ‘এই মুহূর্তে শুধুমাত্র পেশাদার ফুটবলই স্বাভাবিক অবস্থায় এসেছে। পুরো পরিস্থিতি আমরা পর্যায়ক্রমে খতিয়ে দেখবো। একেবারে শুন্য থেকে ১০০’তে কোনভাবেই যাওয়া যাবে না।’
কোভিড-১৯ মহামারী আকারে দেখা দেয়ায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর গত মৌসুমের শেষ নয় রাইন্ডের ম্যাচ জুনের শেষে দর্শকশুণ্য স্টেডিয়ামে সমাপ্ত হয়েছে। ইউরোপীয়ান প্রথম লিগ হিসেবে মাঠে গড়ানো এই বুন্দেসলিগায় সে কারনেই কঠোর স্বাস্ব্যবিধি মেনেই প্রতিটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই লিগের সফলতার পথ ধরেই একে একে অন্যান্য লিগও পর্যায়ক্রমে শুর হয়।
দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ায় বুন্দেসলিগার ক্লাবগুলো বিপুল পরিমান রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়েছে। যে কারনে নতুন মৌসুমে দর্শকদের মাঠে ফেরার বিষয়ে ক্লাবগুলো মুখিয়ে রয়েছে। গত মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের পর দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করা বরুসিয়া ডর্টমুন্ড নতুন মৌসুমে হোম ম্যাচে ১৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতির পরিকল্পনা করছে। ঘরের মাঠ সিগন্যাল ইডুনা পার্কে নিজেদের ম্যাচের দিন ৮১ হাজারেরও উপর ডর্টমুন্ড সমর্থক উপস্থিত থাকে।
যদিও সেইফার্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যেহেতু জার্মানীতে বড় কোন জমায়েত নিষিদ্ধ রয়েছে সে কারনে প্রতিটি ম্যাচে ১০ হাজারের বেশী সমর্থকের অনুমতি দেয়াটা কঠিন হয়ে পড়বে।
বাসস/নীহা/১৫২০/স্বব