বাসস দেশ-৯ : জলাবদ্ধতা দূর করতে ৮ দফা সুপারিশ করেছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন

148

বাসস দেশ-৯
গোলটেবিল- জলাবদ্ধতা
জলাবদ্ধতা দূর করতে ৮ দফা সুপারিশ করেছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন
ঢাকা, ২৭ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : জলাবদ্ধতা নিরসণে সঠিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, খালগুলো পুনরুদ্ধার করা এবং দুই পাড় বাঁধাই করে দেয়া, ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করা, খাল ও ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করা, প্রতিটি সংস্থার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাসহ ৮ দফা সুপারিশ করেছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।
আজ পবার উদ্যোগে আয়োজিত ‘জলাবদ্ধতা নিরসণে কর্তৃপক্ষের দায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পবা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, নাসফের সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী, পবা’র সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ, স্ট্যামফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, বিআইডাব্লিউটিএ-এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ, সাউথ-ইস্ট বিশ^বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য প্রভাষক স্থপতি জোবাইদা গুলশান আরা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, নগরায়ণ ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাভূমি, নি¤œাঞ্চল, খাল ও নদী ভরাট ও দখল, খাল ও নালা-নর্দমা আবর্জনায় ভরাট এবং নিয়মিত পরিষ্কার না করা, সংস্থাগুলোর দায়িত্বে অবহেলা, সমন্বয়হীনতা, জনসচেতনতার অভাব রাজধানীর জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ।
উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২৩০ কিলোমিটার ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০০০ কিলোমিটার এবং ওয়াসার বক্স কালর্ভাটসহ ৩৭০ কিলোমিটার ড্রেনেজ লাইন নিয়মিত পরিষ্কারের পর্যাপ্ত উদ্যোগ না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাজধানীর রাস্তাগুলো। রাজধানীতে মাত্র দুই শতাংশ জলাভূমি রয়েছে, যেখানে থাকার কথা ১২ শতাংশ, নি¤œাঞ্চল ভূমিদস্যুদের দখলে, ৬৫টি খাল ও চারটি নদী ছিল, এখন সেগুলো নেই। এসব কারণে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন কিছুটা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। তাঁর পরিসংখ্যান নিয়ে মতভেদ থাকলেও জলাভূমি, নি¤œাঞ্চল, খাল ও নদী ভরাট ও দখলের বিষয়টি কম-বেশি প্রায় সকলেরই জানা।
ঢাকা ওয়াসা যে ২৬টি খাল দেখভাল করার কথা সেগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কার করে প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে ওয়াসার গৃহীত উদ্যোগ নেই। জলাবদ্ধতা লাঘবে ২৬টি খালের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে ওয়াসা এবং ড্রেন পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিবে এটাই নগরবাসীর প্রত্যাশা।
বাসস/সবি/এমএআর/১৭৩৫/জেহক