জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটাররাও একক অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছে

273

ঢাকা, ৩০ জুলাই ২০২০ (বাসস/এএফপি) : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ব্যবস্থাপনায় দেশের ৫টি ভেন্যুতে একক অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিল জাতীয় ক্রিকেট দলের বেশ কিছু ক্রিকেটার। তবে চাইলে জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটাররাও এই সুযোগ গ্রহন করতে পারবে।
নাদিফ চৌধুরী, ইলিয়াস সানি, সামশুর রহমান শুভ’র মত ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ। ক্যারিয়ারের বিভিন্ন পর্যায়ে তারা জাতীয় দলেরও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এমন ক্রিকেটাররা নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের মতো করে।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স এর চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, এ ধরনের খেলোয়াড়রা ইচ্ছা করলে মুশফিকুর রহিমদের মত একক অনুশীলনের সুযোগ নিতে পারেন। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেন,‘ যাদের আগ্রহ আছে তারা আমাদের কাছে আবেদন করতে পারেন। বিসিবি অবশ্যই তাদের জন্য অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেবে।’
তবে এই মুহুর্তেই গ্রুপ অনুশীলনের পক্ষে নন আকরাম। এমনকি আগ্রহী খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেড়ে গেলে তাদের সবার জন্য একক অনুশীলনের ব্যবস্থা কারাটাও বিসিবির জন্য কঠিন হবে। বাইরের খেলোয়াড় ছাড়া জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় রয়েছেন যারা ঈদ উল আজহার ছুটির পর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও দেশের অন্যান্য স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে ঝাপিয়ে পড়তে পারেন। তাই এই সময় এসব ভেন্যুতে ভীড় বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আকরাম বলেন,‘ সব খেলোয়াড়েরর জন্য একক অনুশীলনের আয়োজন করাটা কঠিন হবে। তবে আমরা যেকোন ভাবেই এর ব্যবস্থা করতে পারব। এখনো করোনা পরিস্থিতি ঝুকিপুর্ন। তাই গ্রুপ অনুশীলন শুরুর কোন পরিকল্পনা আপাতত আমাদের নেই। তবে আমরা পরিস্থিতির উপর বেশ ভালভাবেই নজর রাখছি।’
এর আগে কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রথম দফার অনুশীলনের সুযোগ কাজে লাগিয়েছে জাতীয় দলের ১৪ জন ক্রিকেটার। খেলোয়াড়দের আউটডোর অনুশীলনেরর আগ্রহের কারণে বিসিবি ১৯ জুলাই ৯ জন খেলোয়াড় নিয়ে অনুশীলনের উদ্যোগ গ্রহন করে। এসব খেলোয়াড়রা ঢাকা, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রামের ভেন্যুতে একক অনুশীলন শুরু করেন।
এরপর রাজশাহী ভেন্যুটিকেও অনুশীলনের জন্য খুলে দেয় বোর্ড। যেখানে অনুশীলন শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিথুন, শফিউল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদি হাসান রানা তাদের অনুশীলনের জন্য বেছে নেন শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে। পরে তাদের সঙ্গী হন এনামুল হক বিজয়।
মেহেদি হাসান মিরাজ, মেহেদি হাসান ও নুরুল হাসান সোহান অনুশীলন করেছেন খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। নাসুম আহমেদ ও সাঈদ খালেদ আহমেদ অনুশীলন করেছেন সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন নাঈম হাসান।
৩৫ খেলোয়াড়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনার পর ফিটনেসের কথা ভেবে একক এই অনুশীলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড। তবে বোলিং করার সুযোগ পায়নি বোলাররা। শুধু রানিং ও জিমের মধ্যেই সন্তুস্ট থাকতে হয়েছে তাদেরকে। অবশ্য ইন্ডোরে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিল ব্যাটসম্যানরা।