ভোলায় কোরবানীর ঈদে ২৭০ কোটি টাকার পশু বিক্রি হবে

433

ভোলা, ৩০ জুলাই, ২০২০ (বাসস): জেলায় আসন্ন পবিত্র ঈদ উল আজহায় প্রায় ২৭০ কোটি টাকার পশু বিক্রি করা হবে। চাহিার এসব পশুর মধ্যে গরু রয়েছে ৩৩ হাজার ৭৫০, ছাগল ৯ হাজার ৪৮৫. মহিষ ৯৪১ ও ভেড়া রয়েছে ৬৮৭টি। ইতোমধ্যে গতকাল পর্যন্ত মোট টাকার ৬০ ভাগ পশু বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে। আজকে এবং আগামীকাল আরো ৪০ ভাগ বিক্রি হবে। জেলার ৭ উপজেলায় স্থায়ী ৪৬ ও অস্থায়ী ৩৭টি হাটে পশু বিক্রি এখন জমজমাট। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুামার মন্ডল আজ সকালে বাসস’কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এবছর পশুর হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও পশু বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ খামারিদের অংশগ্রহণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ৮টি পেইজ খোলা হয়েছে। এর বাইরে পারিবারিকভাবে যারা পশু পালন করে তারেকেও এর আওতায় এনেছি আমরা। হাটের বাইরে গতকাল পর্যন্ত অনলাইনে প্রায় আড়াই কোটি টাকার পশু বিক্রি হয়েছে। একইসাথে হাটগুলোতে অসুস্থ গরু নির্ণয়ে ২২টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। প্রত্যেক টিমে ৫ থেকে ৭জন সদস্য কাজ করছে। সদরে খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম।
এদিকে পশুর হাটগুলোর সার্বিক নিরাপত্তায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলা পুলিশ সূপার সরকার মো: কায়সার বাসস’কে জানান, প্রত্যেকটি হাটে সর্বোচ্চ ৫জন থেকে ৩জন পুলিশ সস্য নিরাপত্তায় কাজ করছে। এছাড়া সাদা পোশাকেও রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। জাল টাকা সনাক্তকরণের জন্য বসানো হয়েছে ৩৭টি মেশিন। হাটের বাইরে বিক্রেতাদের যে কোন সমস্যা সমাধানে পুলিশের পক্ষ থেকে হটলাইন নম্বার চালু করা হয়েছে। এ নম্বরে ফোন করলে তাৎক্ষণিক পুলিশী সেবা পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে পশুর হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে শেষ সময়ের পশু বিক্রির ব্যস্ততা। ইজারাদারদের পক্ষ থেকে মাইকে বারবার স্বাস্থ্যবিধী মেনে চলার জন্য ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। খেয়াঘাট ব্রীজ হাট, পরাণগঞ্জ হাট, ইলিশা হাট, তালুকদার হাট, গজারিয়া বাজার হাট, রোদ্রের হাট, গোটাউন হাটসহ বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রি জমে উঠেছে। খেয়াঘাট ব্রীজ হাটে ভেলুমিয়া থেকে আজাহার মিয়া এসেছেন ৭টি গরু নিয়ে। প্রতিটি গরু ৭০ থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, এবছর প্রথম দিকে বেচা-কেনা না হলেও এখন বিক্রি বেড়েছে। ভালো দাম পেয়ে খুশি তিনি।
চরসামইয়া ইউনিয়ন থেকে জসিমউদ্দিন বড় দুটি গরু এনেছেন। দাম চাচ্ছেন ৪ লাখ টাকা। হাটের সার্বিক পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। শহরের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান ৮০ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন। তিনি বলেন, শেষের দিক হওয়ায় গরুর দাম বেশি মনে হচ্ছে।
প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আরো জানান, ইতোমধ্যে কোরবানীর পশু সঠিকভাবে জবাই, চামড়া ছড়ানো, মাংস কাটাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ১৮০ জন কসাইকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পশু জবাই করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২১৮টি স্থান। ১৮ বছরের নিচে যাতে কেউ পশু জবেহ না করে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়া কোরবানী দাতাদের করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে হাটগুলোতে বলে জানান তিনি।