বাসস দেশ-২৩ : মুজিবনগর-সরকার প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠায় অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে : মোস্তাফা জব্বার

114

বাসস দেশ-২৩
স্মারক ডাকটিকিট – অবমুক্তি
মুজিবনগর-সরকার প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠায় অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে : মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা ২৯ জুলাই, ২০২০ (বাসস): ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,মুজিবনগর সরকারের প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠায় অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে।
‘মুক্তিযুদ্ধ-চলাকালিন ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই তৎকালিন মুজিবনগর সরকার এবং যুক্তরাজ্যের হাউজ-অব-কমন্স থেকে প্রকাশিত ৮টি স্মারক ডাকটিকিট বিশ্বে আমাদের জাতিস্বত্ত্বা, রাষ্ট্রস্বত্ত্বা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিফলন ঘটিয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দিবসটি কেবল ডাক অধিদপ্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের যৌক্তিকতা রয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, এই স্মারক ডাকাটিকিট কেবলই ইতিহাসের ধারক ও স্মারক নয়, এর মধ্যদিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব তুলে ধরা হয়, যা সারা দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ‘ডিজিটাল প্লাাটফর্মে’ ‘স্মারক ডাকটিকিট দিবস’ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ‘স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত’ ও আলোচনা সভয় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক অধিদপ্তর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এস ভদ্রের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যেও মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আজিজুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
একাত্তরের সম্মুখ-সমরের তরুণ মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমরা কেবল অস্ত্র দিয়েই যুদ্ধ করিনি। সংস্কৃতি কর্মী, খেলোয়াড়, সাধারণ জনগণ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমেও আমাদের যুদ্ধটা হয়েছে। স্মারক ডাক টিকিটও সে-লড়াইয়ের অংশীদার। নয় মাসের যুদ্ধে দেশের জনগণ আমাদের সাথে একাত্ম হয়ে যুদ্ধ না করলে, খাবার এবং আশ্রয় না দিলে টিকে থাকা আমাদের জন্য কষ্ট হতো।’
তিনি বলেন,‘একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের সময়টি ছিলো পাক বাহিনীর সাথে যুদ্ধের।’
মোস্তাফা জব্বার ঐতিহাসিক স্মারক ডাকটিকিটের নকশাকার বিমান মল্লিকের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, ‘এই ভারতীয় শিল্পীকে তার ভূমিকার জন্য যথার্থ সম্মান আমাদের করতে হবে। কারণ তিনিও আমাদের যুদ্ধের সাথী।’
মন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিতে ডাক অধিদপ্তরসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্থ ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা অনেক। জনগণ স্বপ্ন দেখে আমাদের কাছে কাক্সিক্ষত সেবা পেতে।’
তিনি করোনাকালে ডাকঘর খোলা রাখা, চিকিৎসা-সামগ্রী এবং কৃষকের সব্জি ও ফল বিনামাশুলে পরিবহন করা, ত্রাণ বিতরণ তথা জনগণের পাশে থাকার জন্য ডাক বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।
মোস্তাফা জব্বার ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইনেন্সিয়াল সেবার অসাধারণ সফলতার জন্য সংশ্লিষ্টদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের মালিক জনগণ। তাই আমাদের দায়িত্ব জনগণের স্বপ্ন-পূরণে কাজ করা।’
পরে, মন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৭৪৫/-এইচএন