বাসস দেশ-১৯ : কোরিয়া থেকে ১৫০ মিটারগেজ কোচ ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর

121

বাসস দেশ-১৯
মিটারগেজ- ক্রয়-চুক্তি
কোরিয়া থেকে ১৫০ মিটারগেজ কোচ ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ২৯ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য কোরিয়া থেকে ১৫০ টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন এমপির উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
“বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের আওতায়” চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মোঃ হাসান মনসুর এবং ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পসকো ইন্টারন্যাশনাল-এর কান্ট্রি ম্যানেজার জং বুম লি।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামসুজ্জামান সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ার সুংশিন আরএসটি-পসকো ইন্টারন্যাশনাল যৌথ কোম্পানী। চুক্তির মূল্য বাংলাদেশী টাকায় ছয়শ’ আটান্ন কোটি একাশি লাখ ত্রিশ হাজার তেষট্টি টাকা নব্বই পয়সা।
এই প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ১৮ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে কোচ সমূহের সরবরাহ পাওয়া যাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, দ.কোরিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী দেশ। রেলওয়ে সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করছে। এ কোচগুলো রেলবহরে যুক্ত হলে বেশী পরিমাণে সেবা দেয়া সম্ভব হবে। ফলে যাত্রীরা এর সুফল ভোগ করবে। কোচের মান চুক্তি অনুযায়ী ঠিক রাখার জন্য ঠিকাদারকে অনুরাধ জানান।
এ সময় মন্ত্রী উল্লেখ করেন, এ যাত্রীবাহী ক্যারেজের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্টেইনলেস স্টীল বডি। এতে বায়ো-টয়লেট যুক্ত থাকবে। স্বয়ংক্রিয় এয়ার ব্রেক ব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং ডোরসহ আধুনিক সুবিধা যুক্ত থাকবে এখানে।
তিনি জানান, ১৫০ টি কোচের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লীপিং বার্থ ৩০ টি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ ৩৮টি, শোভন চেয়ার মোট ৪৪টি, খাবার গাড়ীসহ শোভন চেয়ার কোচ ১৬টি, পাওয়ার গাড়ীসহ শোভন চেয়ারকোচ ১২টি, রাষ্ট্রীয় পরিদর্শনের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ী ১টি, খাবার গাড়ী ১টি পাওয়ার গাড়ী ১টি এবং পরিদর্শন কার ১টি।
কোচ সংগ্রহ প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে চুক্তিতে বলা হয়েছে, অতি পুরাতন ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ প্রতিস্থাপন এবং মিটারগেজ ও ডুয়েলগেজ সেকশনে যাত্রীবাহী ক্যারেজ এর স্বল্পতা দূরীভূত করা। এছাড়া আধুনিক, নিরাপদ ও উন্নত যাত্রীবাহী ক্যারেজের মাধ্যমে যাত্রী সেবা নিশ্চিতকরা। বর্ধিত যাত্রী চাহিদা মিটানোর জন্য নতুন ট্রেন চালু করা। বাংলাদেশ রেলওয়েতে মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, রেলওয়ের মিটারগেজ ও ডুয়েলগেজ সেকশনে নিরাপদ ও উন্নত ট্রেন পরিসেবা নিশ্চিতকরা। বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা এবং ক্রমবর্ধমান যাত্রী ও মালামাল পরিববহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিসেবা বৃদ্ধিকরা।
বাসস/ সবি/ এমএন/১৭০০/কেকে