ফেনীতে ৬০ কোটি টাকার রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্পের উদ্বোধন

191

ফেনী, ২৯ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : ফেনী শহরের পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগের প্রধান আঞ্চলিক মাস্টারপাড়া-আলোকদিয়া-ভালুকিয়া-লস্করহাট-শান্তিরহাট সড়কের প্রশস্ততা বাড়ানো ও মজবুতকরণ কাজ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার ফিতা কেটে সড়কের প্রশস্ততার কাজের উদ্বোধন করেছেন ফেনী-২ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। এ প্রকল্পের মোট বাজেট হচ্ছে ৬০ কোটি টাকা।
এসময় সড়ক ও জনপথ বিভাগ ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ, পৌর কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, কোহিনুর আলমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে এমপি নিজাম হাজারী বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে উন্নয়ন করছেন। এ উন্নয়নের ধারা হতে তিনি ফেনীকেও বঞ্চিত করেননি। ফেনীতে হাজার-হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকবেন ততদিন বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ থাকবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এ প্রকল্পের মোট বাজেট হচ্ছে ৬০ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় মাস্টাারপাড়া-আলোকদিয়া-ভালুকিয়া-লস্করহাট-শান্তিরহাট পর্যন্ত সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১৪ দশমিক ১ কিলোমিটার। মূল কাজ হচ্ছে এর প্রশস্ততা বাড়ানো ও মজবুতকরণ। বতর্মানে সড়কের প্রশস্ততা রয়েছে ৩ দশমিক ৯ মিটার। সেটির প্রশস্ততা ৫ দশমিক ৫ মিটার পর্যন্ত বাড়ানো হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রকল্পের সমাপ্ত হবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি বলেন, এ রাস্তাাটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। আমি গত দুই বছর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে অনুরোধ করি রাস্তাটি প্রশস্তকরণের ব্যাপারে। তিনি আমার কথা রেখেছেন। ফলশ্রুতিতে আজ ৬০ কোটি টাকা ব্যায়ে রাস্তাটি প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হয়েছে।
এলাকার উন্নয়নের নিজের অবস্থানের কথা উল্লেখ করে নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, আমি এ এলাকার সন্তান। আমার যতটুকু সাধ্য আমি এ এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাব।
এসময় উপস্থিত কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এ রাস্তাটি করতে গিয়ে যেখানে যা সহযোগিতা প্রয়োজন আপনারা তা করবেন।
উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে এমপি বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রত্তর স্বার্থ বিসর্জন দেয়াই উত্তম। রাস্তার আশেপাশে যাদের বিভিন্ন স্থাপনা আছে তারা তা সরিয়ে নেবেন। যাতে করে ঠিকাদার রাস্তার কাজটি সুন্দর রূপে সম্পন্ন করতে পারে। এজন্য এলাকার সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।