বৌদ্ধ ভিক্ষুর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বনভূমি দখলের অভিযোগ

1248

চট্টগ্রাম, ২৯ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : বন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগ গতকাল একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর বিরুদ্ধে বৌদ্ধবিহারের নামে সংরক্ষিত বনভুমি দখল এবং ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেছে।
‘এই অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের জন্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগ হতে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি,’ চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এতে অভিযোগ করা হয়, জনৈক বৌদ্ধ ভিক্ষু ভদন্ত শরণংকর থেরো ইতোমধ্যে চট্ট্রগামের রাঙ্গনিয়া উপজেলার সংরক্ষিত বনভুমির ৫০ দখলে নিয়ে সেখানে ছোট-বড় মূর্তি, তোরণ, পুকুর, টিনের ঘরসহ বিবিধ স্থাপনা আইন বর্হিভূত ভাবে নির্মাণ করেছেন।
‘জনজ্ঞাতার্থে’ প্রদত্ত বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয় উক্ত ভিক্ষু বর্তমানে ‘জ্ঞানশরণ মহাঅরণ্য বৌদ্ধ বিহার’-এর নামে আরো ৫০ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখলের চেষ্টা করছেন।
‘উক্ত জবরদখলকৃত সংরক্ষিত বনভূমি জবরদখলমুক্ত করার জন্যে ভদন্ত শরণংকর থেরো’কে নোটিশ প্রদানসহ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজসহ রোপণকৃত ৩ হাজার বিবিধ প্রজাতির চারা কর্তন, প্রস্তাবিত বাগানের ৩টি সাইনবোর্ড ধ্বংস, ২০১৯-২০ আর্থিক সনে বাগান সৃজনের নিমিত্তে উত্তোলিত ৭৬ হাজার ৬ শ’টি বিবিধ প্রজাতির চারা কর্তন ও ২০ হাজার খুঁটি পুড়িয়ে ফেলেন,’ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এতে সরকারের ১১, লাখ ৩ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের প্রশাসনিক অধিক্ষেত্রাধীন রাঙ্গুনিয়ার খুরুশিয়া রেঞ্জের খুরুশিয়া বনবিট এবং সুখবিলাস বিটের ফলহারিয়া মৌজায় ১৯৩১ সনে ঘোষিত সংরক্ষিত বনভূমি যার আরএস দাগ নং-৬৫৮, ৬৫৯, ৬০৭ এবং বিএস দাগ নং-৬০৫, ৬৪৬, ৬৪৭, উপজেলা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম ধর্মীয় ধ্যানের নামে নাম দিয়ে সরকারি আনুমানিক ৫০ একর জবরদখল করেন।
‘সে প্রেক্ষিতে জবরদখলকারী ভদন্ত শরণংকর থেরো’র বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ কর্তৃক ৩টি পুলিশি মামলা এবং বনআইনের আওতায় ৩টি পিওআর বন মামলা দায়ের করা হয়, যা বর্তমানে চলমান রয়েছে,’ বলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগ অভিযোগ করে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের অভিযোগ অনুযায়ী, বারংবার নিষেধ সত্ত্বেও শরণংকর থেরো বনভূমি দখল করে নতুন স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখলে বন বিভাগ বাঁধা প্রদান করে তখন উক্ত ভিক্ষু ও তাঁর অনুসারিগণ বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয় দেশ-বিদেশে নানা ধরণের উস্কানিমূলক অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছেন।