বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুবকদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

212

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
প্রধানমন্ত্রী-ওআইসি
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুবকদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, আগামী তিন দশকে বিশ্বব্যাপী তিনটি দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির একটি হিসেবে বিশ্বব্যাপী মূল্যায়ন অভিক্ষেপণ বাংলাদেশের দিকে। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৬ তম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ২৩ তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর জন্য তার সরকারের ভিশন-২০২১ এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি শুধুমাত্র ৫৩ মিলিয়ন তরুণের ডিজিটাল সৃজনশীলতা উন্মোচনের নীলনকশা নয়, বরং এটি বাংলাদেশের প্রাক-কোভিড-১৯ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮.১৩ শতাংশ পর্যন্ত দ্রুত ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে জোর পূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তিনি ওআইসি এবং এর সকল সদস্য রাষ্ট্রকে বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত এই জনগোষ্ঠীর প্রতি তাদের উদার সহায়তা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে অস্বীকার করা সত্ত্বেও, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্যে তাদের মাতৃভূমিতে তাদের নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।
শেখ হাসিনা ‘ঢাকা, ওআইসি ইয়ুুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের জন্য আয়োজকদের উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুুথ ক্যাপিটাল ২০২০ হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য ইসলামিক কোঅপারেশন ইয়ুুথ ফোরামকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) সারা বিশ্বের ১.৮ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের আকাক্সক্ষার প্রতীক।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যোগদানের সময় থেকে আমরা সবসময় ওআইসির দিকে তাকিয়ে থাকি তার দৃঢ় নীতি, মানবতার প্রতি সহানুভূতি এবং নীতি নৈতিক দিক নির্দেশনার প্রতি সহানুভূতির জন্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু তারুণ্য, পৌরুষ এবং প্রাণশক্তির প্রতীক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় অদম্য তারণ্যের শক্তি দিয়ে একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর, উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ছাত্র জীবন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি আদর্শ জীবন হতে পারে। যেহেতু, তিনি একজন খেলোয়াড়, নিষ্ঠাবান ছাত্র এবং একই সঙ্গে অবিচার এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে একজন বীরযোদ্ধা ছিলেন।
শেখ হাসিনা ঢাকা, ওআইসি ইয়ুুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ এর আয়োজকরা এই মহান নেতার চিরন্তন আদর্শের প্রকৃত চেতনাকে সম্মান জানাতে ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ওআইসি মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল-ওছাইমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুুল মোমেন, আজারবাইজানের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী আজাদ রহিমভ, কাতারের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী সালাহ বিন গনিম আল আলী, , ইসলামিক কো অপারেশন ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি তাহা আইহান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এ সময় বক্তব্য রাখেন।
এর আগে কাতারের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দোহা থেকে ওআইসি যুব রাজধানী চাবি ঢাকায় হস্তান্তর করেন।
৭৪টি দেশের ১ হাজার ২ শ’-র বেশি তরুণ এতে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল।
যুব সম্মেলনে অংশগ্রহণ, যার মধ্যে আয়োজক কমিটি ২ শ’ ৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ১ শ’ জন এবং ওআইসি সদস্য রাষ্ট্র এবং এর বাইরে আরও ১ শ’ ৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটিয়ে যথাযথ লিঙ্গ ভারসাম্য বজায় রাখা হয়েছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর ইস্তাম্বুল ভিত্তিক ইসলামিক কোঅপারেশন ইয়ুুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ) ঢাকাকে ‘ওআইসি ইয়ুুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলাদেশ গত বছরের মে থেকে প্রত্যাশিত শিরোপার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল এবং অবশেষে ২৫ ডিসেম্বর তারিখে শিরোপা জয়ের আগে পর্যন্ত আইসিইএফ কর্তৃক কাজাখস্তান এবং তিউনিশিয়াসহ সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ছিল।
বাসস/এসএইচ/এসই/২০৫২/আরজি