বাসস দেশ-৩৭ : অভিজ্ঞতা-বিবেচনায় বিদেশ ফিরত কর্মিরা কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য : ইমরান আহমদ

বাসস দেশ-৩৭
শ্রম অভিবাসন ফোরাম – সভা
অভিজ্ঞতা-বিবেচনায় বিদেশ ফিরত কর্মিরা কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য : ইমরান আহমদ
ঢাকা, ২৬ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, অভিজ্ঞতা-বিবেচনায় বিদেশ ফেরত কর্মিরা দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য।
তিনি আজ রোববার রাজধানীর ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ-ভবনে তার কর্যালয়ে ‘অনলাইন জুমে’ জাতীয় শ্রম-অভিবাসন ফোরামের এক ভার্চুয়াল সভায় (২য় সভা) সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে।
ইমরান আহমদ প্রবাসী কর্মিদের সামগ্রিক কল্যাণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের বিশেষ করে বিদেশগামী কর্মিদের জন্য জীবন বীমায় ভর্তুকি, প্রবাসী কর্মির সন্তানদের লেখা-পড়ার জন্য বিদেশে স্থাপিত বাংলা স্কুলে আর্থিক সহায়তা ও রেমিটেন্স প্রেরণের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদানের বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল,নিয়মিত ও দায়িত্বশীল শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করতে সকল অংশীজনকে একযোগে কাজ করারও আহবান জানান।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, করোনার (কোভিড-১৯) বৈশি^ক প্রেক্ষাপটে বিদেশে অবস্থানরত ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী কর্মিদের জরুরী খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা এবং দেশে অবস্থানরত তাদের পরিবারের বিপদগ্রস্ত সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা হয়েছে।
‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’ একথা উল্লেখ করে ইমরান আহমদ বলেন, ‘কোভিড-১৯’র কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিদেশ থেকে দেশে ফেরত কর্মিদের পুনর্বাসন ও পুনঃএকত্রীকরণের জন্য ৭শ’ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনসহ বিভিন্ন-ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদেশ ফেরত কর্মিদের ৪ শতাংশ সরল-সুদে বিনিয়োগ ঋণ প্রদান করা হচ্ছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সঞ্চালনায় সভায় বায়রা’র সভাপতি বেনজীর আহমদ এমপি, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম, যুগ্মসচিব নাসরীন জাহান, আইওএম বাংলাদেশ’র চীফ অব মিশন গিওরগি গিগারিও, আইএলও’র কান্টি চীফ টুমো পুটেইনেন, ইউএন উইমেন’র প্রোগাম এনালিস্ট তপতী সাহা, সুইস এজেন্সী ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড কো-অপারেশনের প্রোগাম ম্যানেজার নাজিয়া হায়দার, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভলপমেন্ট’র কান্ট্রি-কোঅর্ডিনেটর ক্যাপ্টেইন মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন, ইউকেএইড-প্রকাশ’র টিম লিডার মি. জেরী ফক্সপ্রমুথ বক্তৃতা করেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৯৫৬/এএএ