বরিশালে ৪’শ প্রতিবন্ধী ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী

507

॥ শুভব্রত দত্ত ॥
বরিশাল, ২৬ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : জেলার ১০ উপজেলায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ৪’শ-এর অধিক হত-দরিদ্র, সহায়-সম্বলহীন অসহায় প্রতিবন্ধী সদস্য ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার ১০ উপজেলায় প্রতিবন্ধী নারী সদস্য প্রায় ১’শ ৬০ জন ও পুরুষ সদস্য প্রায় ২’শ ৫০ জন সর্বমোট প্রতিবন্ধী সদস্য প্রায় ৪’শ ১০ জনকে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক অর্থ সহায়তা ঋণ দিয়েছেন। এরা সকলেই দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী বা পঙ্গু। যারা প্রত্যেকই বর্তমানে স্বাবলম্বী।
সূত্র জানায়, এদের মধ্যে দারিদ্র্যকে জয় করে সাবলম্বী হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন সদর উপজেলার চরকাউয়ার ইউনিয়নে হোসনেয়ারা বেগম, শোলনা ইউনিয়নে আলেয়া বেগম, হোগলা ইউনিয়নে নিলুফা বেগম, দ: চন্ডিপুর ইউনিয়নে রওসন আরা, কর্নকাঠি ইউনিয়নে মেরী বেগম, রায়পাশা ইউনিয়নে ইসরাত জাহান ও ফাতেমা বেগম।
এবিষয়ে বরিশাল রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি গবেষক সুশান্ত ঘোষ বলেন, গ্রামীণ সমাজের প্রত্যেকটি সদস্যের বাড়ি এখন খামারে পরিণত হয়েছে। এ সফলতা স্পষ্ট লক্ষনীয়। উপার্জনের পাশাপাশি পরিবারের চাহিদা মিটছে ফলে খরচ কমছে। প্রকল্প ও ব্যাংকের আওতায় সদস্যদের আর্থিক সক্ষমতা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর পেছনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প।
এব্যাপারে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’-এর জেলা সমন্বয়কারী তানিয়া আক্তার বলেন, বর্তমানে এ ঋণ ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে যে কেউ সমিতির সদস্য হওয়ার মাধ্যমে এ ঋণ কর্মসূচির আওতায় আসতে পারবে। এ ঋণ কর্মসূচির ফলে প্রকল্পের সদস্যগণ আগের চেয়ে লাভবান হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে ২০০৯ সালে সৃষ্টি করেছিলেন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রকল্পটির নাম পরিবর্তন করে ‘আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প’ নামকরন করেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, গ্রামীণ জনপথে এ প্রকল্পের সদস্যদের উন্নতি ও সফলতা চোখে পড়ে। পাশাপাশি ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প সমাজের অসহায় প্রতিবন্ধীদের স্বনির্ভর ও নারীর ক্ষমতায় নিশ্চিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রদত্ত ঋণের টাকা আয়বর্ধনমুলক কর্মকান্ডে কাজে লাগিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে প্রতিটি বাড়িতে এক একটি ক্ষুদ্র খামার স্থাপনে প্রধানমন্ত্রীর দর্শন বাস্তবায়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।