স্বাস্থ্যবিধি মেনে চট্টগ্রামের গবাদি পশুর বাজার পরিচালনা করার উপর গুরুত্বারোপ

429

চট্টগ্রাম, ২৫ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেছেন, করোনার সময়ে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ-উল আযহা। এ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চট্টগ্রামের প্রত্যেকটি গবাদি পশুর বাজার পরিচালনা করতে হবে।
তিনি বলেন, গবাদি পশুর বাজারে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা আলাদা পথ রাখতে হবে। মাস্ক পরা ছাড়া বাজারে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এটা অমান্য করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণজনিত প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা বিষয়ক ৬ষ্ট বিশেষ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের পরিচালনায় সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, বাজার ইজারাদারদের পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার মজুদ রাখতে হবে। জালটাকা সনাক্তকরণের মেশিন ও ব্যাংক বুথ স্থাপনসহ মলমপার্টি, থুথু পার্টি, অজ্ঞান পার্টি এবং ছিনতাইকারীরোধে আইন-শৃংখলাবাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা এবছর কোরবানির গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয় করতে বাজারে না গেলে ভালো হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেপিআই’র আশপাশে গরুরহাট বসানো যাবেনা। মসজিদের বাইরে নয়, ভিতরে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। কোরবানির চামড়া সিন্ডিকেট রোধে প্রশাসন তৎপর থাকার পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্টদেকে আরো আšÍিরক হতে হবে।
তিনি বলেন, করোনা শুরুর প্রাক্কালে রোগীদের জন্য চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেড, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, হাইফ্লু ন্যাজাল ক্যানোলা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদির সংকট ছিল। বর্তমানে এখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোন কিছুর অভাব নেই। করোনা সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল গুলোতে এখনো অনেক সিট খালি রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্টানগুলো চিকিৎসা সরঞ্জামাদি নিয়ে করোনা মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছেন বলেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমে এসেছে।
মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের লাখ লাখ মানুষ বিদেশে থাকে। যারা ইতোপূর্বে বিদেশ থেকে দেশে এসেছে তাদের বিদেশ যেতে হলে কোভিড-১৯ টেস্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক। ঈদের পরেও অনেক লোক বিদেশ যাবেন। এজন্য তারা করোনা টেস্টের জন্য নির্দিষ্ট সেন্টারে ভীড় করছেন। তাদেরকে কোন ধরণের হয়রানি করা যাবেনা। নির্দিষ্ট সময়ে রিপোর্ট দিতে হবে। কোন বিদেশ যাত্রী যাতে বিমান বন্দর থেকে ফিরে না আসে সে বিষয়টি আরো গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে।
সভায় অন্যানের মধ্যে অংশ নেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, জেলা পুলিশ সুপার এস. এম রশিদুল হক, সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. শামীম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেন, বিআইটিআইডি’র পরিচালক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ ও বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খাঁন।