রিজেন্টের এমডি মিজান ১০ দিনের রিমান্ডে

267

ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মিজানুর রহমানের দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজে জড়িত ৭৬ শ্রমিকের ভুয়া করোনা রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় তাকে এ রিমান্ডে নেয়া হয়।
আজ শনিবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক ইয়াদুর রহমান। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম তার দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে আজ ভোরে গোপালগঞ্জের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ কর্মীকে ভুয়া করোনা রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে ২০ জুলাই রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়।
মেট্রোরেলের একটি সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠানের রেজাউল করীম বাদি হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমসহ হাসপাতালের কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালে মেট্রোরেলে কর্মরত ৭৬ কর্মীর করোনার পরীক্ষা করা হয়। এ জন্য পরীক্ষাপ্রতি সাড়ে তিন হাজার করে টাকা নেয়া হয়। টেস্ট না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ায় কর্মীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়।
রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম, প্রতিষ্ঠানটির আরেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভজ ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। আর সাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুলকে ৭ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুই দফা রিমান্ড শেষে তারিকুলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তরিকুল সেচ্চায় জবানবন্দি দেয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। এসময় ৮জনকে আটক করা হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।