টেকনাফ বন্দুকযুদ্ধে ২ মাদক বিক্রেতা নিহত, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার

226

ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার নাফ নদী পাড়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২ জন মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও একটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার মোচনী লবন মাঠের নিকটস্থ ছ্যুরিখাল এলাকায় নাফনদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান স্বাক্ষরিত বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিজিবি’র অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও একটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বর্তমান বাজার মূল্য ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
নিহতরা হলেন, মো. ফেরদৌস (৩০) ও মো. আব্দুস সালাম (৩৫)।
ফেরদৌস কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিবের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহ’র পুত্র ও আব্দুস সালাম একই শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা মরহুম সৈয়দ আহমদের পুত্র।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেদা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ মোচনী লবন মাঠের নিকটস্থ ছ্যুরিখাল এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে দেশে আসতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে লেদা বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল ছ্যুরিখাল নাফ নদীর তীরে অবস্থান করে। আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে টহলদল দূর হতে ২ থেকে ৩ জনকে সাঁতরিয়ে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে। তারা সাঁতরিয়ে নদীর কিনারায় উঠার সাথে সাথে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি করতে করতে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় ৩ জন বিজিবি সদস্য আহত হন।
উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৪ থেকে ৫ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি শান্ত হলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ২ জনকে উদ্ধার করে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আহত বিজিবি সদস্যদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।