ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অগ্রগতি চান জেমি ডে

399

ঢাকা, ২৪ জুলাই ২০২০ (বাসস) : ফিফা ডট কমকে দেয়া সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ জেমি ডে বলেছেন, ফিফা কাতার ২০২২ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বাছাইয়ে ভাল খেলা তার দলটি আরো বেশী পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারতো।
জেমি ডে’র সাক্ষাৎকারটি আজ ফিফা ডট কমে প্রকাশিত হয়েছে। বাছাইপর্বে ‘ই’ গ্রুপে শক্তিশালী দলগুলোকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই সবাইকে ‘বাস্তববাদী হতে হবে’ বলে মনে করেন জেমি ডে। তিনি বলেন,‘ আমরা জানি এখানে আমরা আন্ডারডগ হিসেবেই বিবেচিত এবং ফিফা/ কোকাকোলা বিশ^ র‌্যাংকিংয়ে প্রতিপক্ষ দলগুলোর অবস্থান আমাদের চেয়ে অনেক উপরে। তারপরও দল চারটির সঙ্গে আমরা খুবই ভাল খেলেছি। হয়তো আরো বেশী পয়েন্টও সংগ্রহ করতে পারতাম।’
এশীয় চ্যাম্পিয়ন কাতারের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হবার আগে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় কোয়ালিফাইং রাউন্ড শুরু করেছিল আফগানিস্তানের কাছে ১-০ গোলে হার দিয়ে। পরে অবশ্য ওমানের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হবার আগে নাস্তানাবুদ করেছে ভারতকে। ওই ম্যাচের ফলাফলের জন্য এখনো আফসোস থেকে গেছে বাংলাদেশ শিবিেের।
বাংলাদেশ দলের এই ইংলিশ কোচ বলেন,‘ আমাদের সবগুলো ম্যাচেই আমরা ভাল পারফর্ম করেছি। শুধুমাত্র ওমানের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করাটা ছিল হতাশার।’
তবে এই মিশনের মাঝপথে বাংলাদেশ দলের এগিয়ে যাবার সুযোগ ক্ষীন। যদিও বাকী চার ম্যাচের তিনটিই অনুষ্ঠিত হবে ঘরের মাঠে। সেখানে আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের বিপক্ষে খেলাগুলোর জন্য অপেক্ষা করছেন জেমি ডে। তার মতে এখানে বড় পার্থক্য গড়ে দেয়ার জন্য যে স্বাগতিক দর্শকের প্রয়োজন সেটি থেকেই বঞ্চিত হতে হবে বাংলাদেশকে।
জেমি ডে বলেন,‘ এশিয়া কাপে খেলার যে স্বপ্ন আমাদের রয়েছে তা পুরনের জন্য ঘরের মাঠের খেলা থেকে পয়েন্ট সংগ্রহের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। তবে হতাশার বিষয় হচ্ছে দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে আমাদের খেলতে হবে। যারা এইসব খেলায় আমাদের সর্বাত্মক সমর্থন দিতে পারতো।’
২০১৮ সালে জেমি ডে বাংলাদেশে যোগদানের পর জাতীয় দল বেশ কিছু চমকপ্রদ ফল এনে দিয়েছে। যার সুবাদে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে সাত ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে লাল সবুজ জার্সির দলটি। এছাড়া অনুর্ধ-১২৩ দলটি তার নেতৃত্বেই ২০১৯ সালের এসএ গেমসে তৃতীয় স্থান লাভ করেছিল।
বাংলাদেশের ফুটবল প্রসঙ্গে ৪০ বছর বয়সি এই কোচ বলেন,‘ ২০১৮ সালে যখন আমি এখানে আসি, তখন জাতীয় দলের চেহারা ছিল একেবারেই যেনতেন। তবে আমি বিশ^াস করি বিগত দুই বছরে আমরা অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি। এখন আগামী দুই বছরে আমরা শিরোপা জয়ের কথা ভাবতে পারি।’
বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেটকেই বেশী ভালবাসেন। এর কারণ হিসেবে এ দেশের ক্রিকেট ফুটবলের চেয়ে অনেবক বেশী এগিয়ে রয়েছে বলে মনে করেন জেমি ডে। তাই তার মতে একদিন এখানকার ফুটবলও এশিয়া সেরা হবে।
জেমি ডে বলেন,‘ আমার মতে ফুটবলও বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতা, অর্থ এবং অবকাঠামোগত কারণে এখানে ক্রিকেট অনেক বেশী এগিয়ে গেছে। তাই এখানকার ফুটবল অবকাঠামোরও উন্নতির প্রয়োজন। তৃণমুল পর্যায় থেকে পেশাদার পর্যায়ের লীগে পর্যন্ত আমাদের অবকাঠামোগত উন্নতি অবশ্যই ঘটাতে হবে। আর এটিই ফুটবলের মানের উন্নয়ন ঘটাতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে প্রতিশ্রুতিশীল তরুন ফুটবলার সৃস্টিতে কার্যকরি ভুমিকা রাখবে।’