বাসস ক্রীড়া-১২ : পাকিস্তানের হয়ে খেলতে না পারার কষ্ট তাহিরের

208

বাসস ক্রীড়া-১২
ক্রিকেট-ইমরান
পাকিস্তানের হয়ে খেলতে না পারার কষ্ট তাহিরের
লাহোর, ২৪ জুলাই ২০২০ (বাসস) : পাকিস্তানে জন্ম নিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বিশ্ব ক্রিকেট মাতাচ্ছেন লেগ-স্পিনার ইমরান তাহির। কিন্তু নিজ দেশের হয়ে খেলতে না পারার কষ্ট ভোগাচ্ছে তাহিরকে। তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতে লাহোরের হয়ে আমি ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারিনি। দেশের হয়ে খেলতে না পারার কষ্ট আমাকে পেতে হচ্ছে।’
পাকিস্তানের লাহোরে জন্ম হয় তাহিরের। দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ও ‘এ’ দলেও খেলেছেন তাহির। কিন্তু পরবর্তীতে জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি। পরে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান তাহির।
২০০৫ সালে পাকিস্তান ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান তাহির। চার বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার পর অভিবাসন আইনে জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলার অনুমতি পান তাহির।
এরপর ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলে ডাক পান তাহির। দলে সুযোগ পেয়েই স্পিন ভেল্কি দেখিয়ে জাতীয় দলে নিজের জায়গাটা পাকাপোক্ত করেন তিনি। দু’টি বিশ্বকাপও খেলেছেন তাহির। এখন পর্যন্ত ২০ টেস্টে ৫৭, ১০৭ ওয়ানডেতে ১৭৩ ও ৩৮ টি-২০তে ৬৩ উইকেট নিয়েছেন।
বিশ্ব ক্রিকেটে সুনাম কুড়ানোর পরও মনের মধ্যে কষ্ট ঘুরপাক খাচ্ছে তাহিরের। কারন নিজ দেশ পাকিস্তানের হয়ে খেলতে পারছেন না তিনি।
তাহির বলেন, ‘আমি লাহোরে ক্রিকেট খেলতাম। যেখানেই খেলেছি পারফরমেন্স করেছি। আমি আমার ক্রিকেট জীবনের বেশিরভাগই খেলেছি পাকিন্তানে। কিন্তু জাতীয় দলে সুযোগ পাইনি। এটা আমার জন্য ভীষণ হতাশার ও কষ্টের।’
স্ত্রী সুমাইয়া দিলদারের কথাতেই ২০০৫ সালে প্রিয় জন্মভূমি ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান তাহির। জন্মভূমি ছেড়ে আসতে ভীষণ কষ্ট হয়েছে তাহিরেরও। সেটিও জানালেন তিনি, ‘পাকিস্তান ছেড়ে আসা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। তবে আল্লাহ সহায় ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার পেছনে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব আমার স্ত্রীর। সে আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছে।’
বাসস/এএমটি/১৯২৫/স্বব