বাসস দেশ-১৩ (লীড) : করোনায় সুস্থতা ১ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে, কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা

106

বাসস দেশ-১৩ (লীড)
করোনা-ব্রিফিং
করোনায় সুস্থতা ১ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে, কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা
ঢাকা, ২৪ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ১৩৯তম দিনে এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠা মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১৫ জন কম মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৬৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৯৭৬ জন।
তিনি জানান, আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৫৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি।
আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালের চেয়ে আজ ১৫ জন কম মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৫০ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ হাজার ৮৩৬ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। আগের দিনও এই হার ছিল ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১২ হাজার ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৪৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ৩০৮ জন কম শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল ১২ হাজার ৩৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৮৫৬ জন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, দেশে এ পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ৯১ হাজার ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৫৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ০৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ২৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম।
তিনি জানান, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৩৬১ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১২ হাজার ৯২ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ২৬৯টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৮০টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ২৭ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১২ হাজার ৩৯৮ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ৩৭১টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
অধ্যাপক ড. নাসিমা সুলতানা জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩২ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ২৩৭ জন; ৭৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং নারী ৫৯৯ জন; ২১ দশমিক ১২ শতাংশ।
তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১শ’ বছরের ওপরে ১ জন, ৯১ থেকে ১শ’ বছরের মধ্যে ১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন; দশমিক ৬৩ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন; ১ দশমিক ০৬ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮২ জন; ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯১ জন; ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪০১ জন; ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮৩০; ২৯ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ্ব ১ হাজার ২৮৪ জন; ৪৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, মৃত্যুবরণকারী ৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, রংপুর বিভাগে ৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন, সিলেট বিভাগে ৪ জন এবং খুলনা বিভাগে ৬ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত বিভাগওয়ারী মৃতের সংখ্যা ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৩৭২ জন; যা ৪৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে ৭০৭ জন, যা ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে ১৫৯ জন, যা ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ; খুলনা বিভাগে ১৯৪ জন, যা ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে ১০৯ জন, যা ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ; সিলেট বিভাগে ১৩৩ জন, যা ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ; রংপুর বিভাগে ১০৪ জন, যা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৮ জন, যা ২ দশমিক ০৫ শতাংশ।
তিনি জানান, ‘ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১০৩ জন, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৮৪ জন। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ২৮৮ জন, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ২২ জন। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৮৮ জন এবং আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ১শ’ জন। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৫ হাজার ১৩১টি, রোগী ভর্তি আছে ৪ হাজার ২৭৯ জন এবং শয্যা খালি আছে ১০ হাজার ৮৫২টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৩২টি, রোগী ভর্তি আছে ৩০৬ জন এবং খালি আছে ২২৬টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১২ হাজার ২৮৬টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৩০৩টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ১১২টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে বলে তিনি জানান।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭০৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৯৭০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৯৯ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯৪০ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৯১০ জনকে।
তিনি জানান, প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ১ হাজার ৯৬১ জনকে। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৭৫২ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ২২ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ২২২ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ৫৩০ জন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কোভিড ১৯ বিষয়ক সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির গ্লাভস ২৪ ঘন্টায় বিতরণ হয়েছে ১২ হাজার ৩৯৫টি, বিভিন্ন ক্যাটাগরি ও লেভেলের মাস্ক ২৪ ঘন্টায় বিতরণ হয়েছে ১৬ হাজার ১০৯টি, কাভার অল (পিপিই, গাউন, এপ্রোন, সুপ্রটেক্টর) ২৪ ঘন্টায় বিতরণ হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৯টি এবং ফেইসশিল্ড ও গগলস ২৪ ঘন্টায় বিতরণ হয়েছে ১ হাজার ৯৪৭টি।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৯১৮টি এবং এ পর্যন্ত ৭৪ লাখ ১৫ হাজার ৩২২টি। ৩৩৩ এই নম্বরে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৬৮ হাজার ২৫৭টি এবং এ পর্যন্ত ৯৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬১৬টি। আইইডিসিআর’র হটলাইনে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ৯২৮টি এবং এ পর্যন্ত মোট ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ৬১৫টি। সবগুলো মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৮৩ হাজার ১০৩টি এবং এ পর্যন্ত ফোনকল সংখ্যা ১ কোটি ৭৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫৩টি।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস চিকিৎসা বিষয়ে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৪৯৮ জন চিকিৎসক অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ৪ হাজার ২১৭ জন স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিয়ার’র হটলাইনগুলোতে স্বেচ্ছাভিত্তিতে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা জনগণকে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া ২৪ ঘন্টায় কোভিড বিষয়ক টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন ৪ হাজার ৬শ’ জন। এ পর্যন্ত শুধু কোভিড বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৫৭৫ জন। প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক ও ১০ জন স্বাস্থ্য তথ্যকর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
ডা.নাসিমা সুলতানা জানান, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ২ হাজার ১৩১ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭২ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৩ জুলাই পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৫৩৭ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭১ হাজার ৩১৭ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৩১২ জন এবং এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ২০৩ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৩ জুলাই পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ২২৫ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৫০ লাখ ১২ হাজার ৭৩১ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ হাজার ৯৭ জন এবং এ পর্যন্ত ৬ লাখ ১৯ হাজার ১৫০ জন বলে তিনি জানান।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, সর্বদা মুখে মাস্ক পরে থাকা, সাবান পানি দিয়ে বারবার ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া, বাইরে গেলে হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার, বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার, ভিটামিন সি ও ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ডিম, মাছ, মাংস, টাটকা ফলমূল ও সবজি খাওয়াসহ শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
তিনি বলেন, ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ তা অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করে।
বাসস/এএসজি/এমএসএইচ/১৭১২/এএএ